ফাইল ছবি।
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর (Buddhadeb Bhattacharjee) শারীরিক অবস্থা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী চিকিৎসকরা। সোমবার সকালে তাঁর ফুসফুসে সিটি থোরাক্স করা হয়। সেই রিপোর্টে নতুন করে সংক্রমণ মেলেনি। ফুসফুসে জল জমারও কোনও আশঙ্কা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে দুপুর থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ধাপে ধাপে ভেন্টিলেশন (Ventilation) থেকে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সব ঠিক থাকলে বিকেলের মধ্যেই ভেন্টিলেশন থেকে বের করে নেওয়া হতে পারে।
সোমবার সকাল ৭টা ২০ নাগাদ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর সিটি স্ক্যান (CT Scan) হয়। তার প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ বাড়েনি। বাইল্যাটারাল ইনফেকশনের মাত্রাও কমছে ধীরে ধীরে। তাঁকে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে, তা কাজ করছে বলে জানান চিকিৎসকরা। এছাড়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক, নতুন করে জ্বর আসেনি। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, সিটি স্ক্যানের রিপোর্টে তাঁর ফুসফুসে ফাইব্রসিস (Fibrosis) ধরা পড়েছে। অর্থাৎ ফুসফুসের জালিকাগুলি ক্রমশ স্পঞ্জের আকার নিয়েছে। যার জন্য অক্সিজেন নিতে সমস্যা হচ্ছে বলে শরীরে তার সংকট দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর সিওপিডির (COPD) রোগী, অর্থাৎ শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে দীর্ঘকাল ধরে। এর আগে তিনি কোভিড আক্রান্তও হয়েছিলেন। এই সব কারণে ফাইব্রসিস দেখা দিতে পারে। তবে সবটাই আরও ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এদিন আরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা হয়েছে ৭৯ বছর বয়সি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর।
দুপুরের পর থেকে অবশ্য চিকিৎসকরা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে আশাপ্রকাশ করেছেন। ধাপে ধাপে ভেন্টিলেশন থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন তাঁরা। একেকটি যন্ত্র খুলে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন সাপোর্ট ছাড়া তিনি নিজে কতটা শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারছেন। সব ঠিক থাকলে বিকেলের মধ্যে তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে সম্পূর্ণ বের করা হতে পারে। তা যদি নাও সম্ভব হয়, তাহলেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর ভেন্টিলেশন নির্ভরতা কমানো হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.