Advertisement
Advertisement

কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় বাজার আগুন, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের

হাত ছোঁয়ানো যাচ্ছে না ফল বা সবজিতে।

vegetables and fruits flowers get costly before laxmi puja

ছবি - প্রতীকী

Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:October 22, 2018 4:45 pm
  • Updated:October 22, 2018 4:45 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র দিন কয়েক হয়েছে দুর্গাদেবী বিদায় নিয়েছেন। বিজয়া এখনও চলছে। তার পাশাপাশি ঘরে ঘরে চলছে ধনদেবীর আরাধনার প্রস্তুতি৷ কিন্তু, মাস শেষে মা লক্ষ্মীর আরাধানায় প্রস্তুতি নিতে গিয়েছে বড় ধাক্কা আমবাঙালির। বাজার অগ্নিমূল্য। ফলে মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই মানিব্যাগ ফাঁকা হওয়ার জোগাড়। উপলক্ষ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। এক লাফে সবুজ শাক সবজি ও ফলমূলের বাজার অনেকটাই চড়ে গিয়েছে। সাংসারিক বাজার করতে গিয়ে তাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শেষে সোমবার প্রয়োজনের অর্ধেক আনাজপাতি ও পুজোর উপকরণ কিনে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই।

[মঙ্গলে পুজো কার্নিভাল, জোরকদমে সেজে উঠছে রেড রোড]

বিশ চাকার লরি শহরে ঢুকতে পারছে না, এই অজুহাতে লক্ষ্মী পুজোর আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন একশ্রেণির সবজি ও ফলমূল বিক্রেতা। পিছিয়ে নেই মাছ বিক্রেতারাও। তার মধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো ডিজেলের দাম বেড়ে চলেছে হু হু করে। ফলে জিনিসের দাম আরও বাড়ছে। বাজারে আপেল, শশা, কলা, শাকালু, শরবতি লেবু, পেয়ারা, বাতাবি লেবুর মতো ফলের দাম আগুন। সাধারণ শশা ৫০ টাকা কেজি থেকে বেড়ি ৬০ থেকে ৭০ টাকা প্রতি কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। আপেলে কিলো প্রতি দাম বেড়েছে অন্তত ১০ থেকে ১৫ টাকা। পেয়ার ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা প্রতি কিলো হয়েছে। সোমবার শহরে সবজি দাম দাঁড়িয়েছে কেজি প্রতি আলু (চন্দ্রমুখী)-২৪, আলু (জ্যোতি)-১৮, পেঁয়াজ-২৫, টোম্যাটো-৪০, কুমড়ো-২৫, বেগুন-৪০, কাঁচা লঙ্কা-৬০, ক্যাপসিকাম-৮০, গাজর-৪০, ঢ্যাঁড়স-৪০, ঝিঙে-৪০, উচ্ছে-৪০, লাউ-৩০ টাকায়৷ ফল ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এমনিতেই কোনও পুজো থাকলে মার্কেট একটু চড়া থাকে। তার মধ্যে অনেক কষ্ট করে মাল নিয়ে আসতে হচ্ছে। তাই দাম বাড়ছে।

Advertisement

[বর্ষা বিদায় নিতেই শীতের আমেজ ফিরছে শহরে]

আনাজ ও মাছের বাজারও আগুন। সাধারণ আলু, পটল, লাউ, বেগুনের দাম অন্য দিনের তুলনায় বেশি বলে জানাচ্ছেন ক্রেতারা। মাছের বাজারেও একই অবস্থা৷ রীতি অনুযায়ী, লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে অনেক বাড়িতেই জোড়া ইলিশের প্রয়োজন হয়৷ কিন্তু, মরশুম শেষ জোড়া ইলিশের দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কাছাকাছি৷ আর ইলিশের ওজন এক কেজি ছাড়ালে তো আর কথাই নেই। দাম পড়ছে ২০০০ টাকা। ওদিকে চিংড়ির অবস্থাও তাই। বাগদা থেকে গলদা সবেরই দাম একটু চড়া। সোমবারের বাজারদর বলছে, এই মুহূর্তে শহর কলকাতায় কেজি প্রতি মুরগি-১৬০, খাসি-৫৬০, ভেটকি-৫০০, পাবদা-৪০০, চিতল-৬০০, গলদা চিংড়ি-৫০০, বাগদা চিংড়ি-৬০০ টাকায় বিক্রি চলছে৷ ফলে, বাজার করতে হাতে ছ্যাঁকা লাগলেও ক্রেতাদের বক্তব্য, কী করা যাবে দাম বেশি হলেও বাজার তো করতেই হবে। আর সঙ্গে পুজোর আয়োজনও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement