স্টাফ রিপোর্টার: আবারও দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের দরবারে সেরার স্বীকৃতি পেল বাংলা। ‘কন্যাশ্রী’র পর ‘উৎকর্ষ বাংলা’। রাষ্ট্রসংঘের এক সংস্থার বিচারে চ্যাম্পিয়ন প্রকল্পের শিরোপা পেয়েছে ‘উৎকর্ষ বাংলা।’ এই প্রকল্পও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনা। এক্ষেত্রেও প্রকল্পের নাম তাঁরই দেওয়া। রাজ্যের যুবক-যুবতীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্প ফলপ্রসূও হয়েছে। কেন্দ্রের সরকার আগেই এই ক্ষেত্রে রাজ্যকে সেরার সম্মানে ভূষিত করেছিল। এবার সম্মানের শিরোপা এল রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন বা আইটিইউ-এর তরফে।
আইটিইউ-এর সদর দপ্তর জেনেভায় রাজ্যের প্রতিনিধির হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রসংঘের সংস্থার কর্তারা চাইছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই সম্মান গ্রহণ করুন। পুরস্কারপ্রদান অনুষ্ঠান আগামী ৯ এপ্রিল। সেই সময় দেশে পুরোপুরি নির্বাচনী আবহ। লোকসভা ভোটের প্রচার নিয়ে সকলেরই ব্যস্ত থাকার কথা। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর জেনেভা যাওয়ার সম্ভাবনা কতটা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সম্মানপ্রদান নিয়ে আইটিইউ-এর চিঠি এসেছে নবান্নে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওয়ার্ল্ড সোসাইটি অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি বা ডব্লুএসআইএস পুরস্কারে ‘চ্যাম্পিয়ন প্রজেক্ট’ হিসাবে বিবেচিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষতা মানোন্নয়নের প্রকল্প ‘উৎকর্ষ বাংলা’। ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’-এর ক্যাটেগরিতে সারা বিশ্বের মোট ১৪৩টি প্রকল্প স্থান পেয়েছিল। তার মধ্যে ফাইনাল বা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয় পাঁচটি প্রকল্প। সেখান থেকে প্রথম বাংলার এই প্রকল্প।
সর্বাধিক ভোটের নিরিখেই সেই রাউন্ডে সেরা হয়েছে ‘উৎকর্ষ বাংলা’। সারা বিশ্বের ২০ লক্ষের বেশি ভোটার পুরস্কার বাছাইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৮টি ক্ষেত্র বা ক্যাটেগরিতে ১০৬২ টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। ২০১৮ সালের ২ জুলাই থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন নেওয়া হয়েছিল। গতবারের তুলনায় ২১৬ শতাংশ মনোনয়ন বেশি জমা পড়েছিল। মোট ১১৪০ মনোনয়ন জমা পড়লেও প্রাথমিক বাছাইয়ে স্থান পায় ১০৬২টি। পাঁচটি দফায় এরপর চূড়ান্ত নির্ধারণ হয়। এর আগে কন্যাশ্রী প্রকল্প রাষ্ট্রসংঘের জনপ্রশাসন বিভাগে সেরার সম্মান ছিনিয়ে এনেছিল। দ্য হেগ-এ রাজ্যকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছিল। সেবার মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুরস্কার হাতে তুলে নিয়েছিলেন। উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে। রাজ্যের উদ্যোগে লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতী নিখরচায় দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ও পাচ্ছেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারিগরি প্রশিক্ষণ দপ্তরের সোসাইটি ফর স্কিল ডেভেলপমেন্ট এই প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে। উদ্ভাবনীর দিক থেকে নতুন নতুন কোর্সও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেই সবেরই ফল পেল রাজ্য।
ছবি:প্রতীকী
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.