সুব্রত বিশ্বাস: স্টেশন, ট্রেন ও রেল চত্বরে ৫০ মাইক্রন বা তার চেয়ে কম প্লাস্টিকের সামগ্রী ব্যবহার করলে এবার দিতে হবে এক লক্ষ টাকা জারিমানা। হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন মেনেই ওই জরিমানা নির্ধারিত হয়েছে। পাশাপাশি একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহারে বিধিনিষেধও রয়েছে। জলের বোতল ব্যবহারের পর তা নষ্ট করতে হবে। এজন্য হাওড়া, শিয়ালদহ সহ বিভিন্ন স্টেশনে বসানো হয়েছে বোতল ক্রাশ মেশিন। বুধবার মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে হাওড়া, শিয়ালদহ সহ বিভিন্ন স্টেশনে ঝাড়ু মেরে রেলকর্তারা শপথ নেন দূষণ নিয়ন্ত্রণের। পূর্ব রেলের জিএম সুনীত শর্মা হাওড়া স্টেশন ও লাইন সাফাই করে স্পষ্ট জানান, সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার করা চলবে না স্টেশন চত্বরে। সচেতনতার পাশাপাশি তিনি সতর্ক করে বলেন, আইন অমান্য করলেই জরিমানা।
বিভিন্ন ট্রেনে ব্যবহার করা বোতল জড়ো করে আইআরসিটিসি কর্মীরাই তা নষ্ট করবেন। এই সব সামগ্রী নির্ধারিত জায়গায় না ফেললে অবশ্যই যাত্রীকে দিতে হবে জরিমানা। ডিআরএম খান বলেন, রেলের আইনে এজন্য ৫০০ টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ রয়েছে। গান্ধীজির জন্মের দিন আজ থেকেই এই আইন ভারতীয় রেলে কড়াকড়িভাবে কার্যকর করতে বলা হয়েছে। এজন্য রেল স্টেশন চত্বরে ভেন্ডিং স্টল থেকে ফুডপ্লাজা ও অন্য দোকানপাটের ব্যবহারকারী প্লাস্টিকের মাইক্রন খতিয়ে দেখেছেন রেলকর্তারা।
স্টেশনের ভেন্ডিং স্টলগুলিতে ৫০ মাইক্রনের কম পাতলা প্লাস্টিকের মোড়কে রাখা স্যান্ডউইচ, কেকের আবরণ এদিন বদলে ফেলা হয় হালকা কাগজের মোড়ক দিয়ে। তবে হকাররা স্টেশনে যথারীতি প্লাস্টিকের মোড়কে খাবার বিক্রি করেছেন এদিনও। রেলের সতর্কতা সম্পর্কে তাঁদের সচেতনতাও যথেষ্ট। তাঁরা বলেন, “আমাদের খাবারের মোড়ক ৫০ মাইক্রনের অনেক বেশি। আমরা ক্রেতাদের স্টেশন ও লাইনে প্যাকেট না ফেলতে অনুরোধ করছি।” তবে স্টেশনে নিষিদ্ধ পানীয় জলের বোতল দেদার বিকোচ্ছে ট্রেন ও স্টেশনে। হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশন তো রয়েছেই, পাশাপাশি শহরতলির অন্য স্টেশনগুলিতেও এই জল বিক্রি হচ্ছে আইন না মেনেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.