দীপঙ্কর মণ্ডল: জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানদণ্ডে কলকাতা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের অবস্থানেই উজ্জ্বল। চলতি বছর মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রকাশিত সর্বভারতীয় সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা অনুযায়ী প্রথম পঞ্চদশেই রয়েছে প্রবীণ এবং নবীন খ্যাতনামা দুই বিশ্ববিদ্যালয়। তবে গরিমা অনেকটা হারিয়ে ফেলল অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়দের বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্সি। শিক্ষার গুণমানের নিরিখে প্রথম একশোতেও জায়গা করে নিতে পারল না প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়।
বুধবারই মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির গুণমানের ভিত্তিতে একটি তালিকা (NIFR) তৈরি করেছে। যে তালিকায় প্রথম দশে ঠাঁই হয়েছে রাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠানের – খড়গপুর আইআইটি। এরপর একাদশ এবং দ্বাদশে রয়েছে কলকাতা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া প্রথম পঞ্চাশে রয়েছে শিবপুর IIEST, IISER-কলকাতা। প্রথম একশোর মধ্যে রয়েছে বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দুর্গাপুর NIT. গুণগত মানের বিচারে বাংলার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলির পারফরম্যান্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় ভাল।
আইআইটি খড়্গপুর গত বছরের মতোই পঞ্চম স্থানে রয়েছে। আইআইএসইআর-কলকাতা রয়েছে ২৯তম স্থানে। ৪৩তম স্থানে রয়েছে শিবপুর আইআইইএসটি। বিশ্বভারতী ৬৯তম স্থানে। এনআইটি দুর্গাপুর ৯৬। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথম ১০০-য় রয়েছে রাজ্যের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুর, কলকাতা, বিশ্বভারতী, কল্যাণী এবং বর্ধমান। যাদবপুর পঞ্চমে। কলকাতা সপ্তমে। যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এবং সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি।
রাজ্য সরকারের অধীনস্ত দুই বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুর ও কলকাতা কেন্দ্রীয় সরকারের সেরা দশের তালিকায় থাকায় গর্বিত শিক্ষামন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “আমি খুব গর্বিত। রাজ্যের উচ্চশিক্ষার মান যে উন্নত তা ফের প্রমান হল।” কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (কুটা)-র সাধারণ সম্পাদক পার্থিব বসু জানিয়েছেন, “এগিয়ে বা পিছিয়ে থাকা বড় কথা নয়। তবে সর্বভারতীয় সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় কলকাতা এবং যাদবপুর স্থান পাওয়ায় আমরা খুশি। এই সাফল্য অধ্যাপক এবং গবেষকদের আরও অনুপ্রাণিত করবে।” সার্বিক মূল্যায়নের নিরিখে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ এবং যাদবপুরের দ্বাদশ স্থান – দুটোই গত বছরের থেকে একধাপ করে এগিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.