দীপালি সেন: গোড়াতেই তাল কেটেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU) সমাবর্তন অনুষ্ঠানের। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে রাজ্যপালের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল এসএফআই (SFI)। দাবি ছিল, ছাত্র সংসদের ভোট নিয়ে তাঁদের দাবি মানতে হবে। নচেৎ তাঁরা সমাবর্তন বয়কট করছেন। সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গেই এ বিষয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন তাঁরা। প্রাথমিক বাধা কাটিয়ে রাজ্যপালও সাড়া দিয়েছেন তাঁদের দাবিতে। ছাত্রদের দুই প্রতিনিধিকে ডেকে নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। এসএফআইয়ের তরফে নিজেদের দাবিদাওয়া সংক্রান্ত ডেপুটেশন তুলে দেওয়া হয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (C V Ananda Bose) হাতে। তিনি আশ্বাস দেন, ”যা করার করব।” এই আশ্বাসই এখন ভরসা যাদবপুরের বাম ছাত্র সংগঠনের।
শনিবার যাদবপুরের সমাবর্তন (Convocation) অনুষ্ঠান ঘিরে যে এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে, বিন্দুমাত্র অনুমান ছিল না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য (Chancellor) তথা রাজ্যপালের সামনেই ছাত্রভোটের দাবিতে আন্দোলনের আঁচ লাগল অনুষ্ঠানে। ঢোকার মুখেই গেটে পড়ুয়াদের ব্যানার, হোর্ডিং দেখে, স্লোগান শুনে রাজ্যপাল হাত বরাভয় দিয়েছিলেন। পরে তিনি সমাবর্তনের অনুষ্ঠান মঞ্চে জানান, ছাত্রদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করবেন, অনুষ্ঠানের পর শুনবেন তাঁদের কথা।
সেইমতো অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষ করার পরই তিনি ডেকে নেন ২ ছাত্রকে। এসএফআই নিজেদের দাবিদাওয়া জানায়। মূলত ছাত্র সংসদ নির্বাচন বহুদিন ধরে স্থগিত, তা দ্রুত করতে আগ্রহী বলে জানান তাঁরা। সব শুনে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সমস্তটা খতিয়ে দেখবেন তিনি। পড়ুয়ারা যেন ভরসা রাখেন।
সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বেরিয়ে বাম মনোভাবাপন্ন ছাত্র সংগঠনে ফেটসুর (FETSU) চেয়ারম্যান অরিত্র মজুমদার জানান, ”আমাদের দাবি ছিল আচার্য তথা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করা, তাঁকে সব জানানো। আজ যেহেতু উনি এসেছেন, তাই আমরা ফেটসুর তরফে ছাত্র সংসদের ভোট নিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরি। বোঝানোর চেষ্টা করি যে আমরা কতটা ক্রাইসিসে আছি, ভোট না হলে কী কী সমস্যা হয়। উনি আশ্বস্ত করেছেন যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব বোঝেন, যা করার করবেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.