ফাইল ছবি।
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। এই মরশুমে কমবেশি প্রত্যেক বাঙালিকেই হাতছানি দেয় দার্জিলিংয়ের পাহাড়। তবে গাঁটের কড়ি খরচ না করেই এবার সে স্বাদপূরণ হতে পারে। কারণ বিনা খরচে দার্জিলিং ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়েছেন স্বয়ং প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র!
অবাক হলেন? ভবানীপুর চত্বর কিন্তু এহেন ব্যানার-পোস্টারেই ছেয়ে গিয়েছে। চারদিকে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, দার্জিলিং নিয়ে যাচ্ছেন মদনদা। তাও আবার বিনা খরচে। এমন খবরে এলাকায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কীভাবে যাওয়া যাবে, কার কাছে নাম নথিভুক্ত করতে হবে, সেসব খোঁজখবর নিতে হাতড়ে বেড়াচ্ছেন আগ্রহীরা। ব্যাপারটা কী? সত্যিই কি এমন হচ্ছে? নেপথ্যের ঘটনাটি অবশ্য একেবারেই উলটো। আদতে মদনদা দার্জিলিং নিয়ে যাচ্ছেন না, বরং দার্জিলিংকে নিয়ে আসছেন ভবানীপুরে। হ্যাঁ, এটাই খবর।
এই বিজ্ঞাপনটি আসলে ভবানীপুর ইউনাইটেড ইয়ুথ ফোরামের কার্তিক পুজোর মণ্ডপের। যার সভাপতি মদন মিত্র। এবছর তাদের থিম ‘বিনামূল্যে দার্জিলিং ভ্রমণ, সঙ্গে থাকছেন মদন মিত্র’। এবছর ১৫তম বর্ষে পা দিল তাদের পুজো। সংগঠনের সম্পাদক তথা মদনবাবুর অন্যতম ঘনিষ্ঠ ঝন্টু দে জানিয়েছেন, বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজোর কথা সবাই জানেন। তবে কলকাতায় আমরাই বড় কার্তিক পুজো করি। প্রত্যেকবারই মানুষকে নতুন কিছু উপহার দেওয়া হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। ভবানীপুরের পুজো মণ্ডপে এসে সবুজ-পাহাড়ের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।”
নেতাজিভবন মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়েই মণ্ডপ দেখা যাবে। উদ্যোক্তাদের দাবি, মণ্ডপটি দার্জিলিংয়ের পাহাড়ের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। তাতে টয় ট্রেন থাকবে। চা-বাগান থাকবে। এমনকী পাহাড়ের কোল দিয়ে পর্যটকদের বাস গাড়ি চলতেও দেখা যাবে। কিন্তু পাহাড়ে ওঠা যাবে। পাহাড়ের নিচ দিয়ে ঢুকতে হবে মণ্ডপের গর্ভগৃহে। সেখানেই দেব সেনাপতি কার্তিকের মূর্তি থাকবে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, শুধু পাহাড় দেখাই নয়, মণ্ডপে ঢুকে দার্জিলিংয়ের আমেজও পাবেন দর্শনার্থীরা। মণ্ডপের ভিতরে ঢুকতে শীতল বাতাসের শিরশিরানি গায়ে লাগবে। মণ্ডপের ভিতর দার্জিলিংয়ের আবহাওয়া তৈরি করতে একগুচ্ছ এয়ার কন্ডিশনার বসানো হচ্ছে। তাছাড়া দেব সেনাপতির মূর্তিটিও তৈরি পাহাড়ি দেবদেবীর আদলে। কার্তিকের সাজ হবে গোর্খা লেপচাদের মতো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.