রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শিক্ষাক্ষেত্রে যে কোনও পদক্ষেপের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য হাতে হাত রেখে কাজ করবে। মঙ্গলবার কলকাতায় এমনই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar)। এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ (Pariksha Pe Charcha) কর্মসূচিতে সকলকে অংশগ্রহণ করারও আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষের বক্তব্য, পরীক্ষার্থীদের ভয় কাটাতে ২০১৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই উদ্যোগ নিয়ে আসছেন। কোভিডের (Covid) কারণে ২০২১ সালে একবার অনলাইনে এই কর্মসূচি হয়েছিল। এই বছর ২৭ জানুয়ারি দিল্লির (Delhi) তালকটোরে স্টেডিয়ামে এই কর্মসূচি হতে চলেছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানান, ৩২, ৪০০ ছাত্রছাত্রী, ৬,৪০০ শিক্ষক ও ২,০০৮ জন অভিভাবক নিয়ে ইতিমধ্যে একটি সৃজনশীল রচনা প্রতিযোগিতা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল।
২৩ জানুয়ারি দেশের ৫০০ টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার পড়ুয়াকে নিয়ে নয়টি বিষয়ে একটি অঙ্কন প্রতিযোগিতাও আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে থাকছে ২৯ টি কেন্দ্র। প্রতিটি কেন্দ্রে স্থানীয় বোর্ডের ৭০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এই মর্মে ইতিমধ্যে ৪ জানুয়ারি রাজ্য সরকারগুলির কাছে চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আমি আশাবাদী রাজ্য সরকারের তরফে কোনও বিরোধিতা থাকবে না। আমরা হাতে হাত মিলিয়েই এই কর্মসূচি সফল ভাবে করব।” আরও বলেন, “নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও বিরোধীতা নেই। অনেক সরকারই কিছু কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন। আমরা সেই পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানিয়েছি।”
কাকতালীয় আজই আরও এক সমন্বয়ের নীতির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। যার ফলে রাজভবন এবং শিক্ষাদপ্তরের সংঘাত ঘুচতে চলেছে বলে অনুমান। শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতিতে সমন্বয় রেখেই কাজ করতে চায় রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর এবং রাজভবন। মঙ্গলবার উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপাল এবং শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক শেষে একযোগে এমনই বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। একই সঙ্গে এদিন শিক্ষামন্ত্রী কার্যত ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যপালই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য থাকছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.