Advertisement
Advertisement

Breaking News

UNICEF

কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত! রাজ্যের ভূয়সী প্রশংসা ইউনিসেফের কর্তার

নাবালিকাদের বিয়ে রুখতে বিশেষ পোর্টাল তৈরি করছে রাজ্য।

UNICEF praises West Bengal's Kanyashree scheme
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 14, 2024 9:48 pm
  • Updated:August 14, 2024 9:48 pm  

গৌতম ব্রহ্ম: কন্যাশ্রীর মতো মেয়েদের স্বনির্ভর করার প্রকল্প শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন আছে। মত ইউনিসেফের। বুধবার কন‌্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি আরিয়ান দে ওয়াগত। তিনিই কন‌্যাশ্রী প্রকল্পের ভূয়সি প্রশংসা করেন।  বলেন, ‘‘কন‌্যাশ্রী প্রকল্প নারীদের সশক্তিকরণে বড় ভূমিকা নিচ্ছে। শিশুদের পুষ্টি, বৃদ্ধি নিয়ে ইউনিসেফ যে সব কাজ করছে সেগুলি কন‌্যাশ্রীর কারণে আগের থেকে বেশি সফল হচ্ছে। এই প্রকল্প কিশোরীদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করছে। বাল্য বিবাহ রোধে বড় ভূমিকা নিচ্ছে।’’

বিশ্ব দরবারে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প কীভাবে প্রশংসিত হয়েছে তা এদিন এক্স হ‌্যান্ডেলে পোস্ট করে মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তাঁর কথায়, ‘‘গরিব-বড়লোক নির্বিশেষে রাজ্যের সব মেয়ে এখন কন্যাশ্রী!’’ পাশাপাশি তিনি কন্যাশ্রীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘‘তোমরা এগিয়ে যাও। নিজের নিজের স্বপ্নপূরণ করো। তোমাদের যেকোনও দরকারে আমি তোমাদের পাশে আছি।’’ এদিনের পোস্টে নিজের চারলাইন কবিতাও পোস্ট করেন মমতা। বলেন, ‘‘২০১৩ সালে আমরাই এটা চালু করেছিলাম। ইউনেস্কোতে সেরার শিরোপা পেয়ে সেই কন্যাশ্রী আজ বিশ্বজয়ী।…’’

Advertisement

[আরও পড়ুন: অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা! RG Kar কাণ্ডকে উন্নাও-হাথরাসের সারিতে বসালেন রাহুল গান্ধী

এদিনের অনুষ্ঠানে ৩৬জন কন‌্যাশ্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু ও বীরবাহা হাঁসদা। ছিলেন চিকিৎসক সাংসদ ডা. শর্মিলা সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রত্যেকেই কন‌্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘কন‌্যাশ্রী গোটা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত।’’

[আরও পড়ুন: ‘অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে!’ আর জি কর কাণ্ডে বিস্ফোরক বিজেপি]

এদিন শশী পাঁজা রীতিমতো পরিসংখ‌্যান তুলে জানিয়ে দেন, কন‌্যাশ্রী প্রকল্প কীভাবে রাজ্যের বাল্যবিবাহের প্রবণতা কমিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘বাল্য বিবাহ রুখতে ২০২২ সালে একটি পরিকল্পনা করা হয়। তার প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একটি বিশেষ পোর্টাল তৈরি করা হয়। যার মাধ্যমে নাবালিকাদের ট্র‌্যাক করা যায়। এই পোর্টালের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা যুক্ত আছেন। বিয়ে দেওয়ার কাজে যুক্ত থাকা সমস্ত ব‌্যক্তি বা এজেন্সিকে বাল্যবিবাহ নিয়ে সচেতন করা হয়েছে।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement