সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা তথা বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজোকে বিশ্বজনীন করার উদ্যোগ। বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে আগামী বছর রেড রোডের কার্নিভালে অংশ নেবে ইউনেস্কো। সাক্ষী থাকবে বৈচিত্রময় এই বিশেষ শোভাযাত্রার। তাহলে মিলতে পারে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ উৎসবের স্বীকৃতি। এমনই আশার বাণী শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাগৃহে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর আয়োজিত বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করেন মমতা।
তিনি জানান, ‘আগামী বছর কার্নিভালে উপস্থিত থাকবেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা। বিশ্বে অনেক উৎসব হয়। আমরা গত চার বছর ধরে কার্নিভাল করছি। সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছি। এর কোনও জবাব নেই। অনেক দেশি-বিদেশি সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব এই কার্নিভালের প্রশংসা করেছেন। আগামী বছর তাই আরও ভাল করে কার্নিভাল করতে হবে। বাংলাকে বিশ্বের সেরা দেখতে চাই।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ বাংলার সংস্কৃতি। উৎসব হয়ে যায়। তার রেশ রয়ে যায়। আমাদের বাংলার সম্মানকে ধরে রাখতে হবে।’
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই ইউনেস্কোর তরফে বিশ্ব সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলির উপর নজর দেওয়া হয়৷ ঐতিহ্যের তালিকায় নতুন নতুন সংযোজন হয়৷ সেভাবেই ভারতের বেশ কয়েকটি উৎসব নিয়ে চর্চা হয়েছে ইউনেস্কোর অন্দরে৷ সবকটাকে হারিয়ে বাজিমাত করেছে বাঙালির দুর্গাপুজোই৷ আগামী বছর থেকে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের তালিকায়
আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন নাম হিসেবে সংযোজিত হবে দুর্গাপুজো৷
সূত্রের খবর, দুর্গাপুজো নিয়ে চর্চা করতে গিয়ে ইউনেস্কো কর্তারা এর ‘বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য’– এই বিষয়টিতেই মজেছেন৷ তাঁদের মতে, একটি উৎসবের মধ্যে এত রকমারি সংস্কৃতির মেলবন্ধন সচরাচর দেখা যায় না৷ তবে দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ায় বিশেষ ভূমিকা ছিল কলকাতার ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের৷ এই ফোরামের সঙ্গে জড়িত একাধিক ক্লাবের কর্তা এবং বেশ কয়েকজন পুজোর শিল্পীই এই উৎসবকে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়ার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.