অর্ণব আইচ: পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছবি চালাচালি করে স্মৃতিশক্তি হারানো বৃদ্ধকে বাড়ি ফেরাল পুলিশ৷ বৃহস্পতিবার রাতে উল্টোডাঙা থানায় পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় বৃদ্ধকে অর্ধচৈতন্য অবস্থায় পাতিপুকুর বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাতে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে৷ পরে বৃদ্ধের ছবি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়ার পর রাতেই ওই বৃদ্ধকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া দেওয়া হয়ে বলে খবর৷ ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ওই বৃদ্ধ স্মৃতিশক্তি হারিয়ে বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাতে পড়ে ছিলেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান৷
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে তীব্র গরমে ওই বৃদ্ধি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর যায় থানায়৷ খবর পেয়ে থানার ডিউটি অফিসার সুজয় রায় প্রথমেই ‘ট্রমা কেয়ার’ অ্যাম্বুল্যান্সে খবর দেন। দ্রুত ওই বৃদ্ধকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসার পর একটু সুস্থ বোধ করেন তিনি৷ বৃদ্ধের পরিচয় জানান কাজ শুরু করে পুলিশ৷ কিন্তু, নিজের নাম ছাড়া আর কিছুই মনে করতে পারছিলেন না দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এরপরই ওই বৃদ্ধির ঠিকানা সন্ধান শুরু করে পুলিশ৷ দুর্গাদাসবাবুর পোশাক দেখে ডিউটি অফিসার সুজয়বাবু বুঝতে পারেন, তিনি সম্ভবত ঘটনাস্থল পাতিপুকুরের কাছেপিঠেই কোথাও থাকেন। আশেপাশের থানাগুলিকে দুর্গাদাসবাবুর ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয় হোয়াটস্যাপে৷ সংলগ্ন এলাকাগুলিতে খোঁজ নিতে বলা হয় পুলিশের তরফে৷
বৃদ্ধের ঠিকানার সন্ধান চলাকালীন লেকটাউন থানায় সুদেষ্ণা চট্টোপাধ্যায় নামে এক মহিলা ফোন করে তাঁর বাবার নিখোঁজ হওয়ার কথা জানান৷ সঙ্গে সঙ্গেই লেকটাউন থানার মাধ্যমে সুদেষ্ণাদেবীর হোয়াটসঅ্যাপে বৃদ্ধের ছবি পাঠানো হয়৷ তিনি নিজের বাবাকে শনাক্ত করেন৷ সুদেষ্ণাদেবী জানান, তাঁর বাবা বেশ কিছুদিন ধরে অ্যালঝাইমার্স রোগে ভুগছেন। কিছুই বিশেষ মনে থাকে না। বয়সও হয়েছে ৮৫ বছর। চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আরও নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়েছে৷ তিনি গ্রিনপার্কে মেয়ে-জামাইয়ের কাছেই থাকতেন। সকালে পরিবারের নজর এড়িয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর, চারপাশে খোঁজাখুঁজি করেও বাবার কোন হদিশ না পেয়ে থানায় মিসিং ডায়েরি করেন মেয়ে৷ বাবাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মেয়ে-জামাই উল্টোডাঙা থানায় যান৷ বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে যান বাড়িতে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.