ফাইল ছবি
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অর্থোপেডিকের দুই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি (পিজিটি)র বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ আগেই উঠেছিল। টানা দশদিন অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ে শুক্রবার। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রথম বর্ষের দুই চিকিৎসক পড়ুয়ার উপর তিনমাস ধরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত ওই ইউনিটের দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্র।
আঠারো পাতার তদন্ত রিপোর্টে দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্র যে পিজিটি-র প্রথম বর্ষের দুই ছাত্রকে র্যাগিং করেছিল তা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত বলে মেডিক্যাল কলেজ সূ্ত্রে খবর। তবে কী শাস্তি দেওয়া হবে তা এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি। কলেজের অধ্যক্ষ ডা. ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কথায়, ‘‘ন্যাশন্যাল মেডিক্যাল কমিশনের গাইডলাইন মেনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’ তবে মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, আউটডোরে রোগী দেখার ক্ষেত্রে দুই ট্রেনি চিকিৎসক যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। কিন্তু সহকর্মী ও জুনিয়রদের সঙ্গে আচরণ অত্যন্ত অপরিশীলিত। শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, প্রায় দুমাসের বেশি সময় ধরে এই দুই পিজিটি-র বিরুদ্ধে প্রথম বর্ষের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রদের উপর র্যাগিংয়ের ঘটনা চলছিল। কিন্তু শিক্ষক-অধ্যাপকদের একটা বড় অংশ কেন হস্তক্ষেপ করেননি তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছে মেডিক্যাল কলেজ কতৃর্পক্ষ। সূত্রের খবর, র্যাগিংয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ৯ জানুয়ারি। অর্থোপেডিক ইউনিট ১-এর প্রথম বর্ষের দুই পড়ুয়া চিকিৎসক বিট্টু ধর ও জনসন প্রবীণ আম্বেদকরের উপর দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্র টানা তিনমাস ধরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করেছে। মানসিক অত্যাচার ছিলই। থুতু ছেটানো হত।
কলকাতা মেডিক্যালের ‘রেসিড্যান্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন’। সমাজ মাধ্যমেও বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। এর পরেই উপাধ্যক্ষ ডা.অঞ্জন অধিকারীর নেতৃত্বে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠিত হয়। চলে তদন্ত। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘স্বাস্থ্য প্রশাসন, স্বাস্থ্য-িবজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইনি পরামর্শ নিয়ে শাস্তি দেওয়া হবে। তবে ক্যারিয়ারে যাতে সমস্যা না হয় তাও দেখা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.