ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: বুধবার সন্ধেবেলা এজেসি বোস রোড (AJC Bose Road) ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি থাকা আরও দু’জনের মৃত্যু হল শনিবার। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার মৃত দু’জনের নাম সুনীতা ওরফে বুলবুলি খোরা ও সন্তু দে রায়। শুক্রবার লড়াইয়ে হার মেনেছিলেন রঞ্জিত রায় নামে এক ব্যক্তির।
বালিগঞ্জের (Ballygunj) মাহালি পরিবারের গৃহকর্ত্রী গোলাপি মাহালির শ্রাদ্ধ ছিল। বুধবার বিকেলে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের অঙ্গ হিসাবে ঘাটকাজ সেরে একটি মাঝারি মালবাহী গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন মাহালি পরিবারের সদস্যরা ও প্রতিবেশীরা। এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভারের উপরই মালবাহী গাড়িটি উলটে যায়। ঘটনায় গুরুতর আহত ২৯ জন। পুলিশ জানিয়েছে, অতিরিক্ত গতিতে আসা গাড়িটিতে ৩৫ জনের বেশি যাত্রী থাকায় সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। গাড়ির চালক প্রথমে ফ্লাইওভারের ডিভাইডারে ধাক্কা মারেন। তারপরই গাড়িটি উলটে যায়। আরোহীরা পড়ে গেলে অনেকেরই মাথা ও মুখে গুরুতর আঘাত লাগে। হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁদের।
শুক্রবার তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় রঞ্জিত রায় নামে এক ব্যক্তির। চিকিৎসা চলাকালীন শুক্রবার রাত ও শনিবার মৃত্যু হয় ওই দু’জনের। জানা গিয়েছে, সুনীতা ওরফে বুলবুলি খোরা বর্ধমানের বাসিন্দা। তাঁর আত্মীয় ছিলেন বালিগঞ্জের বামনপাড়ার গোলাপি মাহালি। শ্রাদ্ধের কাজে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন বুলবুলি। তিনি গোলাপির ছেলের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় হন। অন্য মৃত যুবক সন্তু দে রায় আদি বালিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তিনি গোলাপি মাহালির ছেলের বন্ধু। নিজের এলাকায় ছোটখাটো ব্যবসা করতেন। মালবাহী গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে দু’জনেরই মাথা ও শরীরের অন্যান্য জায়গায় বড় ধরনের চোট লাগে।
দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তাঁরা। শনিবার তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এই দুর্ঘটনায় (Accident) আহত অবস্থায় আরও কয়েকজন এখনও হাসপাতালে ভরতি আছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, গাড়ির চালক নিজেও আহত। যদিও দুর্ঘটনার পর থেকে তাঁর সন্ধান মেলেনি। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.