অর্ণব আইচ: দেশজুড়ে ভয়াবহ করোনা (Covid-19) পরিস্থিতি। বেড, ওষুধ, অক্সিজেন পর্যাপ্ত পরিমাণ নেই। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে বহু দেশ ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে বর্তমানে যে জিনিসটি সরকার ও প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা হল চিকিৎসা সরঞ্জামের কালোবাজারি। বহুক্ষেত্রেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারণা চক্রগুলিও। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হল কলকাতার (Kolkata) একটি সংস্থা। লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর সরবরাহের নাম করে প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আগাম টাকা নিলেও মেলেনি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর। শেষপর্যন্ত দিল্লি ও মুম্বইয়ের সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন কলকাতার ওই সংস্থার কর্তা। এই ব্যাপারে পূর্ব কলকাতার সার্ভে পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এখন অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইনে একটি সংস্থার সঙ্গে কলকাতার ওই সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে পরিচয় হয়। অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর সরবরাহকারী ওই সংস্থার একটি অফিস দিল্লির কীর্তিনগর ও অন্যটি মুম্বইয়ের আব্দুল রহমান স্ট্রিটে।
এরপরই পূর্ব কলকাতার সন্তোষপুরের ওই সংস্থার কর্তারা অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কিনতে দিল্লি ও মুম্বইয়ের সংস্থার রোহিত নিচানি ও অবিনাশ নামে দু’জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। অভিযুক্ত সংস্থার কর্তারা তাঁদের অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর সরবরাহ করবেন বলে জানান। কিন্তু তার বদলে আগাম টাকা চাওয়া হয়। কলকাতার সংস্থার পক্ষে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ টাকা পাঠানো হয়। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ওই সংস্থার কর্তারা। এর পরই তাঁদের বিরুদ্ধে সার্ভে পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দিল্লি ও মুম্বইয়ের ওই সংস্থাটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে তল্লাশিও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.