তরুণকান্তি দাস: বিভিন্ন প্রয়োজনে যাঁদের সরকারি দপ্তরে যেতে হয়, তাঁরা বলেন, ঘুষ না দিলে নাকি কোনও কাজই হয় না। আর এবার খোদ নবান্ন থেকে ফোন করে টাকা চাইলেন দু’জন সরকারি কর্মচারী! তাঁদের মধ্যে একজন আবার পুলিশকর্মী! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
[হিন্দি উৎসবের মঞ্চে একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর]
কর্মরত অবস্থায় কোনও সরকারি কর্মী যদি মারা যান, সেক্ষেত্রে তাঁর ছেলে বা মেয়ে চাকরি পান। মৃত ব্যক্তি নিঃসন্তান হলে, স্ত্রীকে চাকরি দেয় সরকার। যদিও সেই চাকরি পেতে বিস্তর হাঁটাহাটি করতে হয় বলে অভিযোগ। ভুক্তভোগীদের দাবি, এক দপ্তর থেকে আর দপ্তরে ফাইল পৌঁছতে অনেক সময় লেগে যায়। কখনও কখনও চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য ঘুষ চান সরকারি কর্মীরা। কিন্তু, খোদ নবান্নে কর্মরত সরকারী কর্মচারীরা ঘুষ চেয়েছেন, এমনটা আগে কখনও হয়নি। স্বাভাবিকভাবে শোরগোল পড়েছে প্রশাসনিক মহলে।
রাজ্যের স্বরাষ্ট দপ্তরে চাকরি করেন প্রতুল মজুমদার। আর এক অভিযুক্ত দেবাশিস বড়ুয়াও স্বরাষ্ট্র দপ্তরেরই কর্মী। তিনি পুলিশ কনস্টেবল। যেসব সরকারি কর্মী কর্মরত অবস্থায় মারা গিয়েছেন, নিয়মমাফিক তাঁদের চাকরি সংক্রান্ত ফাইল জমা পড়ে প্রশাসনিক সদর দপ্তর নবান্নে। জানা গিয়েছে, সেই ফাইল দেখে বাড়ির লোকজনকে ফোন করতেন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কর্মী প্রতুল মজুমদার ও পুলিশ কনস্টেবল দেবাশিস বড়ুয়া। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা চাইতেন তাঁরা। গোপন সূত্রে জানতে পেরে অভিযুক্তদের ফোন ট্যাক করতে শুরু করে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুক্রবার সকালে নবান্নে চারতলা থেকে প্রতুল মজুমদার ও দেবাশিস বড়ুয়াকে প্রথমে আটক করে পুলিশ। পরে গ্রেপ্তার করা হয়।
[ সফল অস্ত্রোপচারের পরও মৃত্যু রোগীর! শহরের হাসপাতালে উত্তেজনা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.