জ্যোতি চক্রবর্তী: আলাপ সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর বন্ধুত্ব। হোয়াটস অ্যাপে দিনরাত চ্যাট। সেই আলাপচারিতায় মাঝেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেন দুই তরুণী। কিন্তু সমাজ তো মানবে না সেই সম্পর্ক। মানেনি পরিবারের সদস্যরাও। কিন্তু প্রেম তো কোনও বাধা মানে না। তাই প্রেমের টানে বনগাঁ থেকে কলকাতায় এসে কালীমন্দিরে বিয়ে করলেন সঙ্গীনিকে। রীতিমতো গায়ে হলুদ দিয়ে, মালাবদল করে, সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে সারলেন বনগাঁর মৌসুমী দত্ত।
গত ২১ মে, রবিবার বনগাঁ থেকে কলকাতায় ছুটে আসেন মৌমিতা মজুমদার (সনু)। কারণ কলকাতাতেই থাকতেন তাঁর মনের মানুষ মৌসুমী দত্ত। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। তারপর একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত। কিন্তু পরিবারকে জানানোর পরই বিপত্তি। আপত্তি জানাতে শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু কোনও বাধা মানে না প্রেম। তাই মৌসুমীর ডাকে ছুটে আসেন মৌমিতা। সোমবার রীতি মেনে টোপর-মালা পরে বিয়ে সেরে ফেললেন দুই তরুণী।
রীতি মেনে হয়েছে গায়ে হলুদ। তারপর সন্ধেয় কালীমন্দিরে গিয়ে পুরোহিতের সামনে মালাবদল করে মৌমিতার সিঁথিতে সিঁদুর দেন মৌসুমী। এবার থেকে দুজনে একসঙ্গে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মৌমিতা বলেন, “আমি মৌসুমিকে ভালোবাসি। ওঁকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না,জল ছাড়া যেমন গাছ বাঁচে না, মৌসুমিকে ছাড়া তেমনি আমি বাঁচব না। আমি আমার পরিবারকে বলেছিলাম আমি ওঁর কাছে যাব। কিন্তু তাঁরা রাজি হননি। তাঁরা আমাদের সম্পর্ক মানবেনা, তাই নিরুপায় হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি।”
তাঁরা আরও বলছেন, “আমরা জানি সমাজ আমাদের মানবে না। কিন্তু বাঁচলেও ওঁর সঙ্গে, মরলেও ওঁর সঙ্গে। পুলিশ প্রশাসন যদি আমাদের মেরে ফেলতে চায় তাহলে আমাদের দুজনকে একসঙ্গে মেরে ফেলতে হবে। আর যদি বাঁচিয়ে রাখতে চায় তাহলে দুজনকেই রাখতে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.