সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাটমানি নেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল রাজারহাট। গুলি ও বোমা চলল নারায়ণপুরে। রেহাই পেলেন না পুলিশকর্মীরাও। ইটবৃষ্টিতে জখম এক উর্দিধারী। বোমাবাজিতে আহত এক মহিলা। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ৫।
দলের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণে বিধাননগরের মেয়রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন একজন। আর দলবদল করে আর একজন পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র হয়েছেন। মঙ্গলবার রাজারহাটের নারায়ণপুরে দুই তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত ও তাপস চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীরাই সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি, সকালে বিভিন্ন দিক থেকে এলাকার ঢুকে পড়ে একদল বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। রাজু পাল নামে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় তারা। এলাকায় মুড়ি-মুড়কির বোমা পড়তে থাকে। গুলিও চলে বসে অভিযোগ। কিছুক্ষণ পর পালটা প্রতিরোধ করেন শাসকদলের আক্রান্ত নেতার অনুগামীরাও। দু’পক্ষে বোমা-গুলির লড়াইয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রাজারহাটের নারায়ণপুর। বোমাবাজিতে আহত হন এক মহিলা। গন্ডগোল থামাতে যখন পুলিশ এলাকায় পৌঁছায়, তখন পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। ইটের আঘাতে জখম হন এক পুলিশকর্মী। শেষপর্যন্ত ব়্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। উদ্ধার হয় প্রচুর তাজা বোমা, গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচজনকে।
কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে সব্যসাচী দত্ত ও তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়াল কীভাবে? জানা গিয়েছে, প্রথমে যাঁর বাড়িতে ভাঙচুর ও বোমাবাজি শুরু হয়, সেই রাজু পাল চিনার পার্ক এলাকার অটো ও টোটো ইউনিয়নের নেতা। তিনি বিধাননগরের পদত্যাগী মেয়র সব্যসাচী দত্তের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। অটো ও টোটো চালকের অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে কাটমানি চেয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও তাপস চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট আজিজুল হোসেনের অনুগামীরা। কাটমানি দিতে রাজি না হওয়ায় নতুন একটি অটো ইউনিয়ন চালু করেন তৃণমূল নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। এই নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। এদিকে অটো চালকদের কাছ থেকে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধাননগরের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.