অর্ণব আইচ: কলকাতার প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তায় সবে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুলিশ৷ তার পরেরদিনই শহরের জনবহুল, অভিজাত এলাকার আবাসন থেকে ঝাঁপ দিয়ে জোড়া মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গেল৷ আরেকদিকে, এক বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরেও ছড়াল চাঞ্চল্য৷ সবকটি ঘটনারই তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷
শুক্রবার সকালে সবে ঘুম ভেঙেছে শহরবাসীর৷ তারপরই খুব কম সময়ের ব্যবধানে দক্ষিণ কলকাতার দুটি জায়গা থেকে জোড়া ঝাঁপে দুই প্রৌঢ়ের মৃত্যুর খবর আসে পুলিশের কাছে৷ প্রথম ঘটনাটি ঘটে হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত এমজি রোডের এক আবাসনে৷ সকাল ৭টা ৪০ নাগাদ ডায়মন্ড সিটি সাউথ নামে আবাসনের টাওয়ার ফোরে আটতলা থেকে ঝাঁপ দেন বছর চুয়ান্নর প্রমোদ জালান৷ যদিও প্রতিবেশীদের অনেকে মনে করছেন, ঝাঁপ নয়, আটতলা থেকে তিনি কোনওভাবে নিচে পড়ে গিয়েছেন৷ ওই অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেছেন৷ তদন্ত শুরু করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ৷ তদন্তের স্বার্থে যেখান থেকে তিনি ঝাঁপ দিয়েছেন বা পড়ে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে, সেই জায়গা ভাল করে পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করছেন আধিকারিকরা৷
অপর ঘটনাটি ঠিক এর একঘণ্টার মধ্যে৷ ঘটনাস্থল দক্ষিণ বেহালা রোডের আনন্দনগরের স্বপ্ননীড় আবাসন৷ আটটা চল্লিশ নাগাদ সেখানেও আটতলা থেকেই ঝাঁপ দেন নগেন চন্দ্র ভাওয়াল নামে বছর বিরানব্বইয়ের এক ব্যক্তি৷ তাঁকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন৷ কী কারণে মৃত্য হল, তা জানতে তদন্তে নেমেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ৷
আরেকটি ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত নটা নাগাদ৷ যাদবপুর থানা এলাকার বিজয়গড়ে নিজের বাড়ি থেকে গলায় শাড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় বছর সাতান্নর মায়া দত্তর দেহ৷ পরিবারের সদস্যরাই তাঁকে উদ্ধার করে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যান বলে খবর৷ সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মায়াদেবী৷ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ৷ খুব কম সময়ের ব্যবধানে তিন প্রৌঢ়-প্রৌঢ়ার এমন মৃত্যুতেই ফের ইঙ্গিত, এই শহরে সত্যিই নিরাপত্তাহীন প্রবীণ প্রজন্ম৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.