রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: করোনা আবহে বিজেপি পার্টি অফিসে রাখিবন্ধন উৎসব। হাজির দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), রাহুল সিনহারা। রাখি পরাতে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন মহিলা মোর্চার সদস্যরা। সঙ্গে ছিল চমকপ্রদ উপহার। এমন এক আনন্দের পরিবেশেও অবশ্য তাল কেটে গেল। রাখির দিনও ফের প্রকাশ্যে চলে এল দিলীপ ঘোষ-রাহুল সিনহার চাপা দ্বন্দ্ব।
সোমবার দুপুরে মুরলীধন সেন লেনের সদর দপ্তরে সামাজিক দূরত্ব (Social Distance) মেনে বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মীরা রাখি পরালেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তাঁর ছবি দেওয়া বিশাল আকারের রাখি নিয়ে এসেছিলেন দলের এক কর্মী নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। দিলীপ ঘোষকে ওই রাখিটি পরিয়ে দেন মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। একইভাবে রাহুল সিনহার ছবি দেওয়া আরেকটি বিশাল রাখি আনা হয়েছিল। কথা ছিল, মহিলা মোর্চা সদস্যরা সেই রাখি পরাবেন রাহুলবাবুকে। তবে তাতে তাল কেটে যায় রাখি না পরেই আচমকা রাহুল সিনহা বেরিয়ে যাওয়ায়। অন্দরের খবর, দিলীপ ঘোষকে ঘিরে মহিলা মোর্চা সদস্যদের উদ্দীপনা মোটেই ভালভাবে নেননি এ রাজ্যে দলের কেন্দ্রী সম্পাদক রাহুল সিনহা। কিছুটা অভিমান করেই তিনি পার্টি অফিস ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে তাঁর ছবি দেওয়া বিশেষ রাখি তাঁকে পরিয়েদ দেন দলের কর্মী নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়।
মহিলা মোর্চার কর্মীরা রাখি পরানোর আগেই পার্টি অফিস ছেড়ে রাহুল সিনহার (Rahul Sinha)প্রস্থান নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয় দলের মধ্যেই। রাহুলবাবু অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। এদিন সকালেই দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেছিলেন, দলের কারও মধ্যে কোনও দ্বন্দ্বই নেই। তাঁদের বড় উদ্দেশ্য, তাই বিভেদের প্রশ্নই আসে না। এ বিষয়ে তিনি পরোক্ষে শাসকদলকে কটাক্ষ করে দাবি তুলেছিলেন, যাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে, তারাই বিজেপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখতে পান। কিন্তু দিলীপবাবুর এ হেন দাবি যে কতটা সারবত্তাহীন, তা স্পষ্ট বোঝা গেল রাখির দিন পার্টি অফিসের এই ছবি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, দলের মধ্যে দিলীপ ঘোষ প্রাধান্য পাচ্ছেন, তা ভেবেই ‘গোঁসা’ হয়েছে রাহুল সিনহার। আর তা গোপন করতে না পেরেই রাখি পরানোর আগে পার্টি অফিস ছাড়লেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.