বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: দেশের বাম রাজনীতি অস্তমিত। জাতীয় রাজনীতির আকাশে টিমটিম করে নক্ষত্রের মতো জ্বলছেন কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে জ্বলতে থাকা এক নক্ষত্রের পতন। তিনি জেএনইউ থেকে উঠে আসা কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar)।
তিনি কংগ্রেসের হাত ধরায় উৎফুল্ল বিহার কংগ্রেসের একাংশ। জেএনইউয়ের (JNU) এই প্রাক্তন ছাত্রনেতাকে প্রদেশ সভাপতি পদে চাইছেন তাঁরা। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়েছেন তাঁরা। তরুণ মুখ দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলে দাবি কংগ্রেস (Congress) বিধায়কদের। তবে কানহাইয়ার দলবদলে বিহারে তাঁদের সংগঠনে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে দাবি সিপিআইয়ের।
কানহাইয়া হাত ধরবেন নাকি ধরবেন না। জল্পনা চলছিল। সম্প্রতি পার্টির অন্দরে তাঁকে নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছিল। কানহাইয়ার কাজকর্ম নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল সিপিআইতে (CPI)। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ভর্ৎসনা করা হয় তরুণ তুর্কি এই নেতাকে। কোনও কর্মসূচিতে পার্টির ‘পোস্টার বয়’ যাওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তারপর থেকেই দ্রুত নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। জল্পনাকে সত্যি করে মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) হাত ধরে কংগ্রেসে যোগদান করলেন তিনি।
তরুণ নেতা যোগদানে সিপিআইয়ে যেমন হতাশার চিত্র, তেমনই উলটো ছবি বিহার কংগ্রেসে। কানহাইয়ার যোগদানে এই রাজ্যে কংগ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলে মনে করছে নেতৃত্বের একাংশ। তাঁকে সামনের সারিতে রেখে লড়াইয়ে নামলে তরুণরা দলে আসবে বলে আশা তাঁদের। কলকাতায় বসে দলের বক্সারের বিধায়ক মুন্না তিওয়ারি জানান, কানহাইয়াকে তাঁরা নেতৃত্বে চাইছেন। তাঁকে বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করলে তাঁরা আপত্তি করবে না বলে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) কাছে চিঠি দিয়েছেন। বর্তমানে মদনমোহন ঝাঁ বিহারের সভাপতি। জল্পনা চলছে, দ্রুত সভাপতি বদল করতে পারে হাইকমান্ড। এই সম্ভাবনা থেকেই কানাইয়াকে সভাপতি করার প্রস্তাব বলে জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.