Advertisement
Advertisement

পুজো সেরে গঙ্গাগর্ভে সুরঙ্গ খুঁড়তে আজ ঢুকবে যন্ত্র

মেট্রো যোগের সূত্রে একই বন্ধনীতে বাঁধা পড়তে চলেছে লন্ডনের টেমস ও কলকাতার গঙ্গা৷

Tunnel Boring Machine for East-West Metro project likely to enter in ganges today
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 14, 2017 3:59 am
  • Updated:November 15, 2019 4:26 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবশেষে চলে এল সেই ঐতিহাসিক দিন৷ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ তৈরির জন্য আজ শুক্রবার গঙ্গার নিচে প্রবেশ করতে চলেছে মাটি খোঁড়ার যন্ত্র৷ মেট্রো যোগের সূত্রে একই বন্ধনীতে বাঁধা পড়তে চলেছে লন্ডনের টেমস ও কলকাতার গঙ্গা৷ মেট্রো সূত্রের খবর, গঙ্গার নিচে ঢোকার সূচনা হবে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাট থেকে৷ আজ প্রথমে রামকৃষ্ণপুর ঘাটে গঙ্গাপুজো হবে৷ তার পর গঙ্গার নিচে প্রবেশ করতে পারে টানেল বোরিং মেশিন৷

গঙ্গা থেকে ৯০ ফুট নিচে তৈরি হবে এই সুড়ঙ্গ৷ ৫২০ মিটার গঙ্গার নিচ দিয়ে যাবে সুড়ঙ্গ পথ৷ কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড বা কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, গঙ্গার নিচ দিয়ে এই সুড়ঙ্গ তৈরি করতে যে কংক্রিটের স্ল্যাব দেওয়া হয়েছে, তা বিশেষভাবে তৈরি৷ এই কাজ করতে সুড়ঙ্গের নিচে সিসিটিভিও বসানো হবে৷ সুড়ঙ্গ তৈরির পুরো কাজ সিসিটিভির মাধ্যমে নজরে রাখা হবে৷

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত বছর ১৬ এপ্রিল হাওড়ার রামরাজাতলা থেকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল৷ তার পর কেলভিন কোর্ট, হাওড়ার বঙ্কিম সেতু, হাওড়া ডিআরএম বিল্ডিং, হাওড়া স্টেশনের কাছে টানেল কাটা শেষ হয়েছে৷ গঙ্গার নিচে টানেলের ব্যাসার্ধ বা চওড়া করা হচ্ছে ৫.৫ মিটার৷ রামকৃষ্ণপুর ঘাট থেকে গঙ্গার তলা দিয়ে এই টানেল আরমেনিয়ান ঘাট পর্যন্ত যাবে৷

মেট্রো প্রকল্পের সুড়ঙ্গ তৈরির এই কাজে প্রতিদিন দুটি অর্ধে কাজ হবে৷ প্রতিটি অর্ধে ৬০ থেকে ৭০ জন ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মী কাজ করবেন৷ মেট্রো সূত্রে খবর, গঙ্গার নিচে সুড়ঙ্গ কাটতে প্রায় আড়াই মাস সময় লাগবে৷ রোজ আড়াই থেকে তিন মিটার কাটা হবে বলে জানিয়েছেন কেএমআরসিএলের এক কর্তা৷ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা অ্যাফকনসের এক আধিকারিক বলেন, মাটির নিচে টানেল কাটা ও গঙ্গার নিচ দিয়ে টানেল কাটার কাজ ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে একই৷ এতে ইঞ্জিনিয়াররা অভ্যস্ত৷ কিন্তু গঙ্গার নিচ দিয়ে টানেল কাটতে গিয়ে যদি কোনও বিপদ ঘটে! আধিকারিক হাসতে হাসতে বলেন, সবরকম সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ প্ল্যান এ, বি, সি, ডি, ই পর্যন্ত সব ভাবা রয়েছে৷ পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ তাঁর কথায়, গঙ্গার নিচে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলাকালীন ভূমিকম্পের মতো ঘটনা ঘটলেও তাঁরা তা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত৷ তবে আজ রামকৃষ্ণপুর ঘাটে গঙ্গাপুজোর পরই টানেল বোরিং মেশিন গঙ্গাগর্ভে প্রবেশ করবে কি না তা স্পষ্ট করেনি কেএমআরসিএল৷ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই কর্তারা এ ব্যাপারে কিছু জানাতে চাননি৷ কেএমআরসিএল কর্তা বিশ্বনাথ দেওয়ানজি বলেন, কবে টানেল কাটার কাজ শুরু হবে তা সরকারিভাবে জানানো হচ্ছে না৷ তবে এদিন হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে পুজো শুরু হয়েছে৷ নিরাপত্তার সবদিক সুরক্ষিত রাখা হয়েছে৷ এই কাজ শুরুর আগে কেএমআরসিএলের কর্তারা ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বহুবার বৈঠক করেছেন৷ উল্লেখ্য, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক পর্যন্ত ৩২ কিমি রেলপথ তৈরি হওয়ার কথা৷ গঙ্গাগর্ভের সুড়ঙ্গপথ তারই অংশ৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement