ছবি- প্রতীকী
সুব্রত বিশ্বাস: টিকিট পরীক্ষকদের অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। সর্দি, কাশি নিয়ে ট্রেনে টিকিট চেকিং করছেন। যাত্রীদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ আসায় জোনগুলিকে সতর্ক করল রেলবোর্ড। পাশাপাশি হাওড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে চেকিং হচ্ছে না।
যাত্রীদের অভিযোগে আরপিএফ জানিয়েছে, পুরনো স্টেশনের গেটে বডি স্ক্যানারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা দেখা হচ্ছে। রেলকর্মীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায় রেল প্রশাসনের সঙ্গে কর্মীদের দ্বন্দ্ব চরমে ওঠেছে। টিকিট পরীক্ষকরা তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যে বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা কর্তৃপক্ষের কর্মপদ্ধতি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। তা সত্বেও ট্রেনে আরএসি ও ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীকে ওঠার অধিকার দেওয়ায় একটি সিটে পাঁচ জন, বার্থে দু’জন করে যাত্রা করছেন। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। সেই পরিস্থিতিতে সব টিকিট পরীক্ষকদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ট্রেনে কাজ করানো হচ্ছে। তার উপর বদনাম দেওয়ার রেওয়াজ চলছে তা মেনে নেওয়া যাবে না। পূর্ব রেলের কমার্শিয়াল এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিভাগীয় কর্মীদের উদাসীনতা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া গেলেও বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা সম্ভব নয়।
হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা থেকে ছাড়া সব ট্রেনে একই ব্যবস্থা হওয়ায় পূর্ব রেলের কর্মী সংগঠন মেনস ইউনিয়ন সরব হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলি দিয়ে যে গুটি কয়েক ট্রেন চলছে তাতে প্রচণ্ড চাহিদা রয়েছে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে কুড়ি জোড়া ক্লোন ট্রেন রেল চালালে রাজ্যে চলবে একটি। বিহারে নির্বাচনের জন্য সেখানে দেওয়া হল অন্য সবকটি ট্রেন। এই বৈষম্য মানা যায় না। চাহিদা অনুযায়ী বাড়ানো হোক ট্রেন। দূরত্ব রাখতে বেশি কোচ জুড়ে মাঝের সিট ফাঁকা রাখা হোক। সমস্যা সমাধানের নিরিখে না গিয়ে কর্মীদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর কৌশল রেলে নতুন নয় বলে জানান তিনি। কর্মীরা মাস্ক ব্যবহার করছেন, ফেস শিল্ড হয়তো কেউ কেউ নিচ্ছেন না। রেল প্রথম দিকে এই সুরক্ষার সরঞ্জাম দিলেও এখন দিচ্ছে না। উল্টে কর্মীদের উপর দোষ চাপাচ্ছে। বহু যাত্রী নিজে মাস্ক ব্যবহার না করে পালটা দোষ দিচ্ছেন।
অন্য রেলে মাস্ক না পরে যাত্রা করলে জরিমানা আদায়ের ক্ষমতা দেওয়া হলেও পূর্ব রেল এখনও পরিকাঠামো না জানায় সে নির্দেশ দিতে পারেনি। নির্দেশ কার্যকর হলে এ ধরনের অভিযোগ কমবে বলে তিনি মনে করেছেন। রেলের নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে বিরোধিতায় নামতে না পারলেও ক্ষুব্ধ আরপিএফ। সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্তার কথায়, রেল প্রথমে কম সংখ্যক লোকাল ট্রেন চালানোর যে পরিকল্পনা নিয়ে পরিকাঠামো তৈরি করছে তাতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। তখন দোষ পড়বে আরপিএফ কর্মীদের উপর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.