সুব্রত বিশ্বাস: হাওড়া স্টেশনে টিটিইদের দশা এখন নাকি ‘পান্ডা’দের মতো! অভিযোগ, টিকেটিং জোন ছেড়ে এখন তারা পৌঁছে যাচ্ছেন ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে টিকিট কাউন্টার পর্যন্ত। উদ্দেশ্য, কে কোন ট্রেনে যাত্রা করতে চান তা জানতে চাওয়া। তাঁরা বলছেন, “কাউন্টারে টিকিট পাবেন না, আমরাই করে দেবে। দিতে হবে ২৫০ টাকা জরিমানা।” সেই জরিমানা দিয়েই নিরাপদে যাত্রা করতে পারবেন যাত্রী।
টিটিইর সেই আশ্বাসে হাতে স্বর্গ পাওয়া দশা একাধিক যাত্রীর। মধুসূদন কর্মকার (নাম পরিবর্তিত)। তিনি দুনের টিকিট কাটতে কাউন্টারে যান। সংরক্ষিত টিকিট না পেয়ে অসংরক্ষিত কামরায় যাত্রা করার পরিকল্পনা নিয়ে ইউটিএস কাউন্টারে টিকিট কিনতে গিয়েছিলেন, কিন্তু পাননি। কারণ, দুন এক্সপ্রেসের সব কামরাই রিজার্ভড। অগত্যা টিটির আশ্বাসেই জরিমানা দিয়ে ‘এক্সট্রা ফেয়ার টিকিট’ নেন, নিরাপদ যাত্রার আশায়।
হাওড়ার অধিকাংশ ট্রেনেই চালু হয়নি এই ধরনের কোচ। ফলে চাহিদার নিরিখে টিটিইবাবুরা নেমে পড়েছেন মাঠে। একেবারে শেষমুহূর্তে কারা পাচ্ছেন না সংরক্ষিত টিকিট, তাদেরই খুঁজে বের করে ইএফটি করানোয় এখন তাদের নজর। কমার্শিয়াল বিভাগের কর্তারা এনিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও জানা গিয়েছে, আগামী ১ জুলাই থেকে সব ট্রেনে অসংরক্ষিত কামরা চালু হয়ে যাবে। এরই মধ্যে যা বাড়তি আয় করা সম্ভব তাই করে নিচ্ছে ওই ডিভিশন বলে মনে করেছেন অনেক রেলকর্তাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.