Advertisement
Advertisement
Trinamool Congress Prashant Kishor

২০২৬ পর্যন্ত তৃণমূলের সঙ্গেই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা I-PAC? তুঙ্গে জল্পনা

পরবর্তী দুটি বড় নির্বাচনের দিকে নজর তৃণমূলের।

Trinamool Congress may get Prashant Kishor’s I-PAC on board till 2026 | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 15, 2021 11:40 am
  • Updated:June 22, 2022 12:07 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাকের (I-PAC) সঙ্গে কি দীর্ঘকালীন গাঁটছড়া বাঁধার পথে হাঁটছে তৃণমূল কংগ্রেস? রাজনৈতিক মহলে তেমনই জল্পনা ছড়াচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, একুশের অভাবনীয় সাফল্যের পর তৃণমূল নেতাকর্মীরা চাইছেন আগামী দুটি বড় নির্বাচনেও ‘পিকে স্যারে’র সংস্থা তাঁদের পাশে থাকুক।

একুশে যেভাবে প্রশান্ত কিশোরের হাতে বাংলা দখলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই চব্বিশের লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) এবং ছাব্বিশের বিধানসভাতেও প্রশান্ত কিশোরকেই নির্বাচনী পরামর্শদাতা হিসেবে চাইছে তৃণমূলের একাংশ। তাঁদের যুক্তি এই দুই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে দলের সাফল্যের গতি ধরে রাখতে পিকে’কে (PK) দলের প্রয়োজন। সেজন্যই I-PAC-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চান তাঁরা। আসলে একুশের সাফল্যের পর ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২৬-এর বিধানসভা (West Bengal Assembly Election 2026) নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ঘুঁটি সাজানো শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। যদিও এতে বেশ কয়েকটি সমস্যা আছে। তৃণমূলের ক্ষেত্রে দলনেত্রী কী চাইছেন, সেটা সবচেয়ে জরুরি। তাছাড়া গত ২ মে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই পিকে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, আই-প্যাকের সঙ্গে আর সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকতে চান না তিনি। তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার যুক্তি ছিল, “আই প্যাকে আমি ছাড়াও আরও অনেকে কঠোর পরিশ্রম করেন। আর সুনাম শুধু আমার হয়। তাই সময় এসেছে নিজে পিছিয়ে এসে অন্যদের এগিয়ে দেওয়ার।” যদিও তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট নয়, তিনি পুরোপুরি I-PAC ছাড়বেন, নাকি আড়ালে থেকে পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করবেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘স্কুল খুললে খরচ, মদের দোকান খুললে লাভ’! নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে ফের রাজ্যকে খোঁচা দিলীপের]

যদিও, এই মুহূর্তে প্রশান্ত কিশোর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের ভোট বৈতরণী পার করানোর দায়িত্বে আছেন। ২০১৭ সালের পর এবারও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পিকেকে নিজের ভোটপ্রচারের দায়িত্ব দিয়েছেন। যদিও, অমরিন্দরের সঙ্গে পিকের কথাবার্তা চুড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল বাংলার ভোটপর্ব চলাকালীনই। এখন দেখার তৃণমূলের প্রস্তাব গেলে, তিনি রাজি হন কিনা। নাকি তৃণমূল শুধু পিকেহীন I-PAC-কেই নিয়োগ করে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement