নব্যেন্দু হাজরা: নিয়ম না মানলেই চাকরি যেতে পারে সরকারি বাসচালক ও কনডাক্টরদের। হতে পারেন সাসপেন্ডও। শুধু বাসের কর্মীরা নন, মোটা টাকা জরিমানা হতে পারে যাত্রীদেরও। সরকারি বাসে অনিয়ম আটকাতে এবার চেকিং বাড়াচ্ছে পরিবহণ দপ্তর। মে মাস পর্যন্ত দিনভর দু’দফায় চেকিং করা হত বাসে। চলতি মাস থেকে সেই চেকিং হবে তিন শিফটে। এমনই জানিয়েছে পরিবহণ দপ্তর।
সরকারি বাস থেকে আয়ে ঘাটতি হচ্ছিল। বেনিয়ম নিয়ে লাগাতার অভিযোগ উঠছিল। কী ধরনের বেনিয়ম? সরকারি দূরপাল্লার বাসে অতিরিক্ত মাল পরিবহণ করা হচ্ছে। যার ফলে একদিকে যেমন বাসের স্বাস্থ্য়ক্ষয় হ তেমনই আবার পণ্য পরিবহণের পুরো টাকা পরিবহণ দপ্তরে আসছে না। আবার দূরপাল্লার যাত্রীরা টিকিট কাটছেন স্বল্প দূরত্বের। কেউ কেউ তো আবার বাসের কনডাক্টর, চালকদের ‘হাত’ করে টিকিট না নিয়ে ন্যায্য ভাড়ার চেয়ে কম টাকা দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছেন। বাসের কর্মীদের পকেট ভরলেও দপ্তরের রাজস্বে ঘাটতি হচ্ছিল। লোকসানে চলছিল সরকারি বাস। এই পরিস্থিতি বদলাতেই উদ্যোগ নিয়েছে পরিবহণ দপ্তর। আর তাতে যে রাজ্য় সরকারের লাভ হয়েছে, তা স্পষ্ট। সরকারি হিসেব বলছে, মে মাসে কাজের দিনগুলিতে সিটি সার্ভিসের সরকারি বাসগুলির আয় পেড়েছে ১০ শতাংশ।
বিভিন্ন এলাকায় চেকিং স্কোয়াড বসিয়েছে তারা। CSTC, CTC এবং WBSTC-র বাসে আচমকা হানা দিচ্ছে চেকিং টিম। প্রতিদিন প্রায় ১০০টি বাসে চেকিং চলছে। মে মাসে এধরনের চেকিংয়ের জেরে ৭ জন কনডাক্টরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৭২ যাত্রীকে। এই নজরদারি বাড়াতে এবার থেকে দিনে তিন শিফটে কাজ হবে। পরীক্ষক দলে লোকসংখ্যা বাড়বে। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে নজরদারি। শুধুমাত্র শহরের মধ্যে চলাচলকারী সরকারি বাস নয়, দূরপাল্লার বাসেও হবে চেকিং।
আর এই নজরদারিতে বেনিয়ম ধরা পড়লে বাসের কনডাক্টর, চালকের চাকরিও যেতে পারে। হতে পারেন সাসপেন্ড। এমনকী, অন্য রুটে তাঁদের বদলি করা দেওয়ার মতোও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যাত্রীদের অনিয়ম ধরা পড়লে ২০০ টাকা জরিমানা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.