Advertisement
Advertisement

Breaking News

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় লিঙ্গের সংরক্ষণের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ রূপান্তরকামী

ইতিমধ্যেই আবেদনপত্রে রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Transgender moves court seeking reservation in CU Unprecedented!
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:November 28, 2019 3:00 pm
  • Updated:November 28, 2019 3:00 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলা এবং পুরুষের পাশাপাশি এবার থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্রে থাকছে তৃতীয় লিঙ্গর জন্য বিশেষ কলাম। অবশেষে আলিয়া শেখের লড়াইয়ের কাছে হার মানল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আলিয়ার লড়াইয়ের ইতি কিন্তু এখানেই ঘটেনি। কারণ, আবেদনপত্রের পাশাপাশি আগামী দিনে রুপান্তরকামীদের জন্য পৃথকভাবে সংরক্ষিত আসনেরও দাবি তুলেছেন তিনি। তার শুনানি হবে আগামী শুক্রবার বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে।

সমাজের চিরাচরিত ধারণায় পুরুষ কিংবা মহিলা হিসেবে নয়, এই লড়াই রূপান্তরকামী হিসেবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার অধিকার আদায়ের। এই লড়াই সমান অধিকার আদায়ের। নিজের অস্তিত্ব প্রমাণের। আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সেটাই করে দেখালেন আলিয়া শেখ।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলিয়ার আবেদন করতে গিয়ে। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে এমফিল করতে চান তিনি। এমএ পাশ করার পরে এমফিলের আবেদনপত্র পূরণ করতে গিয়েই জোর সমস্যায় পড়েন মহেশতলার বাসিন্দা আলিয়া। তাঁর কথায়, এমএ পাশ করার পরে হলফনামা দিয়ে ‘আলিয়া শেখ’ নামে তৃতীয় লিঙ্গের একজন মানুষ (রূপান্তরকামী নারী) হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এমফিলের ফর্মে শুধু পুরুষ বা মহিলা পরিচয়ে ভরতির সুযোগ ছিল। তাই বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয় তাঁকে। কারণ, বুধবারই ছিল ফর্ম ফিল-আপের শেষ দিন। তার আগে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পেরেছেন আলিয়া। কিন্তু তৃতীয় লিঙ্গের জন্য পৃথক কোনও আসন সংরক্ষণ করা নেই। এক্ষেত্রে আবেদন করলেও পড়ার সুযোগ না-ই পেতে পারেন তিনি। তাই রূপান্তরকামীদের জন্য আসন সংরক্ষনের দাবি করেছেন আলিয়া।  

[আরও পড়ুন: মাদক উদ্ধারে বাধা হিংস্র কুকুর, অভিযানে গিয়ে নাজেহাল পুলিশ ]

২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের ‘নালসা রায়’-এ ভারতে পেশাগত বা শিক্ষাগত সব ক্ষেত্রেই পুরুষ-মহিলার পাশে তৃতীয় লিঙ্গকেও স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই সঙ্গেই এও বলা হয়েছিল যে, তৃতীয় লিঙ্গভুক্তদের ওবিসি বা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি হিসেবে সংরক্ষণের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধাও দিতে হবে। কিন্তু বাস্তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই বিধি কার্যকর হয়নি। প্রসঙ্গত, এর আগেও অনেকে এই বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে তা ফলপ্রসূ হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, রূপান্তরকামীদের ওবিসি ক্যাটেগরি ভুক্ত করে সংরক্ষণ দিতে হবে। এই রাজ্যে এখনও তা চালু করেনি কোনও বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার এই মামলার শুনানি হলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে যে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য বিশেষভাবে আসন সংরক্ষণ থাকছে কিনা।

[আরও পড়ুন: দেখভালের অভাব, বিক্রি হচ্ছে মৃণাল সেনের পদ্মপুকুর রোডের ফ্ল্যাট ]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement