নব্যেন্দু হাজরা: লকডাউনের বন্দিদশা কাটিয়ে আনলক ওয়ানে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টায় তিলোত্তমা। জীবিকার টানে কিংবা অন্য কোনও প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন কমবেশি সকলেই। তবে দূরত্বের গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য বাস, ট্যাক্সি কিংবা অ্যাপ ক্যাব ছাড়া কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। যাত্রীর তুলনায় বাসের সংখ্যা কম বলে উঠেছে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে আমজনতার ভোগান্তি কমাতে সোমবার থেকে রাস্তায় দেখা মিলতে পারে ট্রামের। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি পরিবহণ দপ্তর। তবে কানাঘুষো পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের মধ্যে ট্রাম চালানোর ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে।
পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের কথা থেকে জানা যাচ্ছে, আগামী সোমবার থেকে নির্দিষ্ট রুটে আধঘণ্টা অন্তর মিলবে ট্রাম। রুটগুলি হল- শ্যামবাজার-ধর্মতলা, গড়িয়াহাট-ধর্মতলা, খিদিরপুর-শহিদ মিনার এবং টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ। অন্যান্য পরিবহণের মতো এক্ষেত্রেও করোনা সংক্রমণ রোধে সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে সকলকেই। অবশ্যই যাত্রীদের ব্যবহার করতে হবে ফেস শিল্ড কিংবা মাস্ক। তাছাড়া কন্ডাক্টরের কাছে থার্মাল গান রাখার ভাবনাচিন্তাও চলছে। তাই সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে আগামী সোমবার থেকে ট্রাম পরিষেবা চালু হলে সকলেরই যে সুবিধা হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের দাবি, এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। তবে খুব সম্ভবত সোমবার থেকে চলবে ট্রাম। ট্রায়াল রানও হয়ে গিয়েছে।
এর আগেই ঠিক হয়েছিল ২১ মে থেকে কলকাতার রাস্তায় চলবে ট্রাম। তবে তার আগেরদিন অর্থাৎ ২০ মে ১৩৩ কিলোমিটার বেগে রাজ্যের উপরে আঘাত হানে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। তার তাণ্ডবে ট্রাম লাইনের উপর উপড়ে পড়ে গাছ। একাধিক জায়গায় ছিঁড়ে যায় ট্রামের তার। শুধু ছেঁড়ে না, একাধিক রুটে টুকরো টুকরো হয়ে যায় তার। যা এখনও পুরোপুরি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। আর ময়দানের কাছে তো লাইনের উপর এক-আধটা গাছও পড়ে। ফলে নির্ধারিত দিনক্ষণের পর প্রায় ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও তিলোত্তমার রাজপথে ট্রাম নামানো সম্ভব হয়নি। সোমবার আদৌ ট্রাম চলে কি না, সেদিকে তাকিয়ে আমজনতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.