ছবি: প্রতীকী
সুরজিৎ দেব, ডায়মণ্ড হারবার: লক্ষাধিক টাকার পোশাক বিক্রি করেছিলেন এক ব্যবসায়ী। বছর ঘুরতে চললেও পোশাকের দাম মেটাননি মেটিয়াবুরুজের ছোট ব্যবসায়ী। বারবার পাওনা টাকা চেয়েও কোনও লাভ হয়নি। শুক্রবার সেই টাকা চাইতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন মহেশতলার ব্যবসায়ী ও তাঁর তিন ভাই। অভিযোগ, তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। কালীতলা থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ।
মহেশতলার চট্টা কালিকাপুরের বাসিন্দা শেখ লাল্টু। পেশায় পোশাক ব্যবসায়ী। মেটিয়াবুরুজে ব্যবসা করেন তিনি। ২০২১ সালে আরেক ছোট ব্যবসায়ী নওসাদ খানকে ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার পোশাক দিয়েছিলেন। বদলে কোনও টাকা নেননি। কথা ছিল পরে সেই টাকা মিটিয়ে দেবেন নওসাদ।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সেই টাকা মেটানোর জন্য তাগাদা দিতে শুরু করেন শেখ লাল্টু। টাকা মেটানো তো দূরে থাক, ফোন ধরছিলেন না নওসাদ। লালটুর অভিযোগ, শেষের দিকে ফোন বন্ধ করে রাখছিলেন নওসাদ। পালিয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছিলেন চট্টা কারবালার বাসিন্দা নওসাদ। উলটে দাবি করেছিলেন, লালটুর কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পান নওসাদ।
লালটুর পরিবার সূত্রে খবর, মার্চ মাসে তাঁর মামাতো বোনের বিয়ের দিন ঠিক হয়। বিয়ের জন্য টাকার প্রয়োজন ছিল। তাই শুক্রবার নওসাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন লালটু ও তাঁর তিন ভাই। অভিযোগ, নওসাদের পরিবারের সদস্যরা তাদের ঘরের বিতর ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধর করে। লাঠি-বাঁশ-ইট-পাথর দিয়ে আঘাত করা হয় তাঁদের। কোনওক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে আসে ওই চারজন। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর ছোটেন থানায়। কালীতলা থানায় নওসাদ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন শেখ লালটু। তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, টাকার অভাবে বোনের বিয়েও আপাতত স্থগিত করে দিয়েছেন শেখ লালটু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.