অভিরূপ দাস: লম্বা একটা খাল। তার চার পাশে একের পর এক কফিশপ, রেস্তরাঁ। সিঙ্গাপুরের এই এলাকাকে বলা হয় শহরের হৃদয়। সিঙ্গাপুরের সেই ‘ক্লার্ক-কি’-র ধাঁচেই টালিনালাকে সাজাতে চায় কলকাতা পুরসভা (KMC)। মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) টালিনালা পরিদর্শন করেন। ঘুরে দেখে তিনি জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরের ক্লার্ক কি একসময় মজে যাওয়া, স্থবির এক খাল ছিল। অনেকটা টালি নালার মতোই। সিঙ্গাপুরের সেই মজে যাওয়া নদীর জলটাকে ট্রিটমেন্ট করে এমন করা হয়েছে এখন সেখানে ছিঁটেফোটাও গন্ধ নেই। চারিদিকে একের পর রেস্তোরা। কলকাতার পর্যটনে এমন জায়গা নিতে পারে টালিনালা। তার জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম।
আদিগঙ্গা থেকে শুরু হয়ে বেহালা, কালীঘাট, টালিগঞ্জ গড়িয়া হয়ে সোনারপুরের দিকে চলে গিয়েছে ১৫ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ এই টালিনালা। একসময় তা ছিল পণ্য পরিবহনের খাল। এখন বেশিরভাগ জায়গা নোংরা কালো জলে ঢাকা, তাতে দুর্গন্ধে টেকা দায়। দু’পাশে বসবাসকারী ঝুপড়িবাসীদের নোংরা বর্জ্য এসে পড়ে এই খালে। মেয়র এদিন জানিয়েছেন, টালিনালা সংস্কারে সবচেয়ে বড় বাধা দখলদাররা। তিরিশ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ফিরহাদের কথায়, ‘‘সংস্কারের কাজ চলছে কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য রোজ রোজ লোক এসে দু’পাড় দখল করে নিচ্ছে।’’ মেয়র জানিয়েছেন, নিত্যনতুন দখল হবে। আর তাদের তুলতে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর দেওয়া হবে। এমনটা চলতে পারে না।
উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, পুর্নবাসন ছাড়া উচ্ছেদ নয়। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, গঙ্গার ধারে অনেক এসে রয়েছেন। যাদের দৈনন্দিন বর্জ্য নদীতে এসে পড়ছে। তাঁদের পুর্নবাসন দেওয়া হবে। তবে ওই জায়গায় আবার নতুন করা যেন দখল না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। টালিনালার দু’পাশে জাল লাগাচ্ছে পুরসভা। মেয়র জানিয়েছেন, মানুষের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। অনেকে ভাবেন এটা একটা ভ্যাট। ময়লাভর্তি প্লাস্টিক ছুঁড়ে মারেন। এটা ঠিক নয়। টালিনালার দু’পাশে যেখানে যেখানে ধস নামছে সেখানে শালবল্লা লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.