Advertisement
Advertisement

Breaking News

Dengue

ডেঙ্গু সচেতনতায় নয়া উদ্যোগ কলকাতায়, পুজোয় ‘ব্যাট’ হাতে মণ্ডপে-মণ্ডপে মশা খুঁজছে ২ খুদে

ব্যাপারটা কী?

Toddlers with anti-mosquito bats in Durga Puja pandals spreading dengue awareness in Kolkata | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:October 1, 2022 3:54 pm
  • Updated:October 1, 2022 5:43 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর আগে থেকেই কলকাতায় লাল চোখ দেখাচ্ছে ডেঙ্গু। আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। এই আবহে ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে দুর্গাপুজোয় অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। থিম, আলোকসজ্জা, পরিবেশের পাশাপাশি কোন মণ্ডপ কতটা ডেঙ্গু সচেতন, সেটা বাছাই করা হচ্ছে। কোনও মণ্ডপে মশা রয়েছে কিনা তা যাচাই করে দেখার দায়িত্ব পড়েছে দুই খুদের উপরে। পুজোর দিনে বড়-বড় বিচারকদের সঙ্গে মণ্ডপ ঘুরে দেখছে তারাও।

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী অমাত্রা দে এবং ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া স্বপ্ননীল দাস। এবার পুজোর সর্বকনিষ্ঠ বিচারকও দুই খুদে। বিশেষজ্ঞ বিচারকদের সঙ্গে মণ্ডপে-মণ্ডপে যাচ্ছে তারা। হাতে রয়েছে মশা মারার ব্যাট। প্রতি ১০ মিনিটে সেই ব্যাটে কত মশা মরছে মণ্ডপে, তা গুনে রাখাই ওই দুই খুদের কাজ। সেই হিসেবই বলে দেবে কোন মণ্ডপ ডেঙ্গু নিয়ে কতটা সচেতন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বাংলা দুর্নীতিমুক্ত হোক’, EZCC’র পুজো উদ্বোধন করে প্রার্থনা সুকান্ত মজুমদারের]

অমাত্রা ও স্বপ্ননীল দু’ জনেই ডেঙ্গু সচেতনতার পরীক্ষা করছে মণ্ডপে মণ্ডপে। তারা জানাচ্ছে, নেতাজিনগর লো ল্যান্ড মণ্ডপে ১০ মিনিটে ২৯টি, টালা পার্ক প্রত্যয় মণ্ডপে ১০ মিনিটে ৮টি, চোরবাগান সর্বজনীন ১০ মিনিটে ৬টি মশা, নলিন সরকার স্ট্রিট মণ্ডপে ১০ মিনিটে ৫টি মশা, নিউটাউন সর্বজনীন মণ্ডপে ১টি এবং দমদম পার্ক সর্বজনীন মণ্ডপে ১০ মিনিটে ১টি মশা মারা হয়েছে। তবে কাশী বোস লেনে ১০ মিনিটে একটি মশাও পাওয়া যায়নি। তাদের এই পরীক্ষার উপর নির্ভর করে ঘোষিত হবে শ্রেষ্ঠ ডেঙ্গু সচেতন পুজোর তালিকা।

 

এই সম্মানের উদ্যোক্তা রাজর্ষি দাস বলেন, “বিচারকদের মধ্যে অনেকেই সমাজের বড় বড় জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। রয়েছেন ডিজাইনার স্নেহাংশু শেখর দাস, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক একে সামন্ত, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী মিহিরকুমার দত্ত, বড়াপান্ডা ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালকাটার অধ্যাপক ডক্টর দীপক কুমার, রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী সমীরকুমার সাহা। কিন্তু এই ছোট দু’ জনই এবারের সেরা বিচারক।”

[আরও পড়ুন: পুজোয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে এলাহি খাবারদাবারের ব্যবস্থা, পাতে কী পড়বে পার্থর?]

রাণু মণ্ডল ও বাদাম কাকুর সঙ্গে গান রেকর্ড করার অভিজ্ঞতা আছে গোখেল মেমোরিয়াল স্কুলের ক্লাস থ্রির অমাত্রার। এবার সে শ্রেষ্ঠ পুজো খুঁজতে রাত জাগছে। আর তার সঙ্গী ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া স্বপ্ননীল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement