স্টাফ রিপোর্টার: আজ ইকো পার্কে (Ecopark) বিজয়া সম্মিলনী। সেখানে শিল্পপতি, বিদ্বজন, ক্রীড়ামহল, টলিউড ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির আমন্ত্রিতদের মুখোমুখি হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দলের বিজয়া সম্মিলনীতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রী।
ইউনেস্কোর বিচারে ‘ইনট্যানজিবল হেরিটেজ’ হয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো। স্বীকৃতির উদযাপনে রেড রোডে বিশেষ অনুষ্ঠান হয়েছে। পুজোয় রেকর্ড গড়েছে বিদেশি পর্যটকদের ভিড়। দুর্গাপুজো কেন্দ্রিক ব্যবসার পরিমাণও অনেক বেড়েছে। এই আবহে আজ ইকো পার্কের মিষ্টিকা ব্যাঙ্কোয়েটে বিশিষ্টদের মুখোমুখি হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে থাকবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা-সহ সব দপ্তরের সচিব। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, সঞ্জয় বুধিয়ার মতো রাজ্যের প্রথম সারির সব শিল্পপতি, বিদ্বজ্জন ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টদের। অতিথি তালিকায় রয়েছেন সংবাদমাধ্যমের শীর্ষকর্তারাও। দুর্গাপুজোর পর প্রতিবছরই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী করা হয়। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হচ্ছে। চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত।
আগামিকাল ভবানীপুরে দলের তরফে আয়োজন করা হয়েছে বিজয়া সম্মিলনীর। ওই কেন্দ্রের সমস্ত পুরপ্রতিনিধি, দলের বিভিন্ন শাখার সাংগঠনিক প্রধানরা ছাড়াও ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন এলাকার বিশিষ্ট নাগরিকরা। দলের রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুব্রত বক্সির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার আলিপুরের উত্তীর্ণ সভাগৃহে এই সম্মিলনীর প্রস্তুতি বৈঠক সম্পন্ন হয়। ঠিক হয়েছে, যেহেতু পুরভোটের পর এই প্রথম বিধানসভা কেন্দ্রের বড় কর্মসূচি হচ্ছে, তাই পুর প্রতিনিধিদের দলের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। বুথ পর্যায়ের কর্মীদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হওয়া এই সম্মিলনীতে কে কোথায় বসবেন, কে কী বক্তব্য রাখবেন, কাদের মঞ্চে রাখা হবে তা এদিন সরেজমিনে চূড়ান্ত করেন সুব্রত বক্সি। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই এমন সভা হচ্ছে, তবে ভবানীপুরে নিজের কেন্দ্রে হাজির থেকে বিধায়ক মমতা গোটা রাজ্যের বিধায়কদের প্রতি কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে বিশেষ বার্তা দিতে চাইছেন। তৃণমূলের তরফে রাজ্যব্যাপী পাঁচশোটির বেশি ‘বিজয়া সম্মিলনী’ সভার কর্মসূচি ঘোষিত হয়েছে। নামে ‘বিজয়া সম্মিলনী’ হলেও মঙ্গলবার থেকে জেলায় জেলায় প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
প্রতিটি সভায় মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা রাজ্য সরকারের নানা জনকল্যাণমূলক প্রকল্প ও পরিষেবা আরও কীভাবে বাড়ি বাড়ি পৌঁছনো যায় তা নিয়ে দলের তরফে গাইডলাইন দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে নিয়োগ বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা প্রতিটি ভোটারের কাছে যাতে সঠিকভাবে পৌঁছয় তা জানাতে এই বিজয়া সম্মিলনী থেকে কর্মীদের গাইডলাইন দেওয়া হচ্ছে। দলের এই কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি আরও বিস্তারিত কীভাবে তুলে ধরতে হবে তাও ব্যাখ্যা করা হবে। রাজ্য স্তরের নেতা-নেত্রীদের জেলার বিজয়া সম্মিলনীতে পাঠানো হচ্ছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গকে। রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছে ইতিমধ্যেই খবর এসেছে, দলের তরফে পাঁচশো সভার কথা বলা হলেও বাস্তবে এই সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়বে। কলকাতায় বিধানসভাভিত্তিক বিজয়া সম্মিলনীর পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের একই কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে। জেলায় ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরেও এই রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দলের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সর্বস্তরের কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে ‘বিজয়া সম্মিলনী’ শীর্ষক এই দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.