ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বছর দুই আগে দলের যুব সংগঠনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে বসানো হয়েছিল সায়নী ঘোষকে (Saayoni Ghosh)। এখন তিনি যুব তৃণমূলের সভাপতি। তরুণ প্রজন্মের কাছে রাজনৈতিক আইকন হিসেবে বেশ খানিকটা জনপ্রিয় হলেও আত্মসমীক্ষায় সায়নী নিজে নিজের কাজের ভুলত্রুটি খুঁজে বের করলেন। শুক্রবার কালীঘাটের মেগা বৈঠকে তৃণমূল (TMC) নেত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সায়নী। আর শনিবার তৃণমূল ভবনে বৈঠক করতে ঢুকে ফের নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করলেন তিনি।
আগামী ২৯ মার্চ তৃণমূলের ছাত্র-যুব সংগঠনের সমাবেশ। শহিদ মিনারের সেই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই সমাবেশের প্রস্তুতি বৈঠক হল তৃণমূল ভবনে। যুব সংগঠনের সভাপতি হিসেবে সায়নী ঘোষ এবং টিএমসিপির (TMCP) সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে ঢোকার আগেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সায়নী।
দায়িত্ব পাওয়ার পর তৃণমূলের যুব সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারেননি বলে শুক্রবার নেত্রীর কাছে তিনি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই সায়নী বলেন, ”দল এখন এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে, যখন আত্মসমীক্ষা প্রয়োজন। আমি দায়িত্ব পেয়ে কী কী করেছি, কী কী করতে পারিনি, সেই আত্মসমীক্ষাটা আমি নিজেকে দিয়েই শুরু করলাম। আর নিজের খামতি বুঝতে পারলে ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে অসুবিধা তো কিছু নেই।” যদিও সায়নীর দাবি, তিনি ৯০ শতাংশ জেলায় ঘুরেছেন ইতিমধ্যে, কয়েকটি বাকি রয়েছে। তবে তারপরও যতটা কাজ করার ছিল, ততটা তিনি পারেননি বলেই আক্ষেপ। এবার আরও জোরকদমে কাজে নামার সংকল্পও নিয়েছেন তৃণমূলের যুবনেত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.