ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার মান অত্যন্ত খারাপ। অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়ে বছরের পর বছর বসে রয়েছে। নিয়োগে দেখা হয়েছে রাজনীতির রং। কিন্তু রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের ধারনা কী? তাঁদেরও কী একই অভিযোগ? জানতে দলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসের কর্মসূচির অদৃশ্য ‘শেয়ার-সূচক’-এ নজর রাখবে শাসকদল।
২৮ আগস্টের অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে তিনি আরও একবার ছাত্রছাত্রীদের বার্তা দেবেন। তাঁকে নিয়ে এমনিতেই আগ্রহ থাকে সকলের। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সে আগ্রহ চূড়ান্ত। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ছাত্রছাত্রীদের কোনও কিছু চট করে বুঝিয়ে দেওয়া বা চাপিয়ে দেওয়া যায় না। তাঁরা যুক্তি দিয়ে মেপে সত্যিটা গ্রহণ করে। নয় বছরের মাথায় সরকার-বিরোধী কিছু মত তৈরি হতেই পারে। আর তা হতে পারে ছাত্র-যুবদের মধ্যেই। দলের সাধারণ কর্মসূচিতে সাহস করে সেসব না বলতে চাইলেও ভারচুয়াল কর্মসূচিতে অনেকেই সেসব নিয়ে সাহস দেখান। নেতৃত্বের যুক্তি, নেত্রীর ভারচুয়াল ভাষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় কত শেয়ার হচ্ছে, কী ধরনের ‘কমেন্ট’ পড়ছে, তার উপরই নির্ভর করবে তাঁর প্রতি বা তাঁর সরকারের প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আস্থা। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই শেয়ারের দিকে নজর রাখবে দল। কারও কোনও পরামর্শ বা অভিযোগ থাকলে, তাকেও গুররুত্ব দেওয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে এখন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। কিন্তু রাজ্যের সমস্ত কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরেই স্ক্রিন টাঙিয়ে নেত্রীর ভাষণ শোনানোর ব্যবস্থা হয়েছে। ভাষণ শেয়ারের মাত্রা যাতে বাড়ে, তার জন্য ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন মাধ্যমে তা শেয়ারের অনুরোধ করা হয়েছে। শনিবার ভিডিও কনফারেন্সে সভার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা সেরে নিয়েছেন দলের প্রাক্তন ছাত্র সভাপতিরা। তাতে নেত্রীর ছাত্র আন্দোলনের সময়ের কথা উঠে এসেছে। রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তের ছাত্র-নেতাদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি যাই হোক, নেত্রী যে আবেগ নিয়ে দল করেছেন, সেইকথা মাথায় রেখে যেন প্রতিষ্ঠাদিবসের কর্মসূচি গুরুত্ব দিয়ে করা হয়। নেত্রী যা বার্তা দেবেন তা মাথায় নিয়ে যেন দল চলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.