ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ১০০ দিনের কাজ করেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ‘ষড়যন্ত্রে’ মেলেনি প্রাপ্য টাকা। আর সেই টাকা আদায়ে বাংলার শাসকদলের নেতৃত্বে তিনদিনের ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে নামছেন রাজ্যের বঞ্চিত কৃষক, শ্রমিকরা। তবে সেই কর্মসূচিতে প্রাথমিক বাধা এসেছে রেলের তরফে। আগাম টিকিটের টাকা নিয়েও তৃণমূলের (TMC) আবেদন মতো বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেনি রেল। কিন্তু এত বাধা সত্ত্বেও মাথা নত করছেন না আন্দোলনকারীরা। প্রাপ্য আদায়ে তাঁরা বদ্ধপরিকর। শনিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে দিল্লিগামী (Delhi) বাসে ওঠার আগে তাঁরা বলছেন, ”আমাদের বাস যেখানেই আটকাবে, সেখানেই ধরনায় বসব। সেখান থেকে হেঁটেই দিল্লি যাব।”
তৃণমূলের এই কর্মসূচি রুখতে কেন্দ্রের শাসকদল অতি সক্রিয় বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। কখনও দিল্লিতে আন্দোলনকারীদের থাকার জন্য রামলীলা ময়দানে তাঁবু ফেলার অনুমতি না দেওয়া, কখনও ট্রেনের ব্যবস্থা না করা, কখনও আবার বঞ্চিতদের কর্মসূচি বানচাল করে কৃষিভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সেখানে না থাকা। তবে বিকল্প ব্যবস্থাও করেছে দল। কারণ, এই অভিযান সফল করতে মরিয়া বাংলার শাসকদল। আর তার সবটাই দল দায়িত্ব নিয়ে আয়োজন করেছে।
আন্তঃরাজ্য বাসগুলিতে কর্মীদের দিল্লিতে রওনা করিয়ে দেওয়ার পরও সংশয় থাকছে। বিহার পেরনোমাত্র সেসব বাস আটকে দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রেও পিছু হঠার ব্যাপার নেই। অকুতোভয় কর্মীরা জানিয়েছেন, বাস যেখানেই আটকানো হবে, সেখান থেকে হেঁটে দিল্লি যাওয়া হবে। থমকে যাওয়ার ব্যাপার নেই। রামলীলা ময়দানে থাকার তো অনুমতি মেলেনি। দিল্লি পৌঁছে তাহলে কোথায় থাকবেন তাঁরা? তৃণমূল সূত্রে খবর, দিল্লিতে প্রচুর বাঙালি গেস্ট হাউস, ভাড়া বাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি হোটেলও বুক করা হয়েছে। এঁদের সকলের থাকা-খাওয়া এবং জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার দায়িত্ব দলের। নেতা-মন্ত্রীরা অনেকে থাকবেন বঙ্গভবনে। এভাবেই আগামী ৩ দিন দিল্লির দরবারে প্রতিবাদের ঝড় তুলতে একেবারে ১০০ শতাংশ প্রস্তুত তৃণমূল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.