Advertisement
Advertisement

Breaking News

TMC

দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনও বিবৃতি নয়, তৃণমূলে স্পষ্ট বার্তা পার্থর

ইতিমধ্যেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষদের সঙ্গে কথা বলেছেন তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান।

TMC warns leaders about indiscipline within the party | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 16, 2022 9:20 am
  • Updated:January 16, 2022 9:20 am  

স্টাফ রিপোর্টার: দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কোনও বিবৃতি দেওয়া যাবে না। দিলে দল ব্যবস্থা নেবে। এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মহাসচিব তথা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) শনিবার বলেন, দল হল সম্পদ। দলই আমাদের শক্তি। মানুষের আশীর্বাদে এই দল তৈরি হয়েছে। অতএব সেই দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে এমন বিবৃতি কেউ দেবেন না। দল তা ভাল চোখে দেখবে না।

এদিন পার্থবাবু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee), কুণাল ঘোষ-সহ নেতৃত্ব নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন। কার্যত যুদ্ধবিরতি চলছে। দলের অনুশাসন মেনে কেউ কোনও বিবৃতি এদিন দেননি। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কিছু বিষয়। যা কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে থেকেই হচ্ছে। এটা সব সময় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। অতএব কীভাবে এটা বন্ধ করা যায়, সেই ব্যাপারটাও দেখা হয়েছে। আর সেই কারণেই মহাসচিব বিবৃতি দিয়েছেন যে, দলকে জড়িয়ে এই বিষয়ে কেউ আর কোনও মন্তব্য করবেন না। তাঁর কথায়, “কয়েকদিন ধরে সংবাদমাধ্যমে দলের কয়েকজনের বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতি আমাদের নজরে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকে পোস্ট করছেন এ বিষয়ে। যা দলের ভাবমূর্তিকে আঘাত দিচ্ছে। আমি দলের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে বারবার অনুরোধ করেছিলাম প্রকাশ্যে কোনওরকম বিবৃতি দিয়ে, কোনওরকম মন্তব্য সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কয়েকজন সদস্যর সঙ্গে বসে এই উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছেছি যে, যাঁরা দলের নিষেধের পরও এই ধরনের বিবৃতি দেবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি দলের কাছে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: পিছিয়েছে পুরভোট, কলকাতা হাই কোর্ট-কমিশনকে ধন্যবাদ অভিষেকের]

এ প্রসঙ্গে মহাসচিব এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, যাঁরা ইতিমধ্যে এ নিয়ে নানা জায়গায় বিবৃতি দিয়েছেন তাঁদের বিষয়গুলোও কমিটির নজরে আনা হবে। তাঁর কথায়, “এ নিয়ে আমরা যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেব। এতবার বলার পরও অনেকেই বিবৃতি দিচ্ছেন। কারও বক্তব্য থাকলে দলের মধ্যে বলুন। কিন্তু কর্মী ও নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করা হচ্ছে, যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পক্ষে যথেষ্ট।” এ নিয়ে দলের কঠোর মনোভাবের কথা বলে খুব স্পষ্টভাবে সকলকে সতর্ক করে দিয়েছেন মহাসচিব।

[আরও পড়ুন: ‘বাঁচতে চাই’, ফেসবুক লাইভে করুণ আর্তি মদন মিত্রের পুত্রবধূর]

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ব্যক্তিগত মতের প্রেক্ষিতেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন। কল্যাণবাবুর এমন আচরণ অনেকেই ভালভাবে নেয়নি। তার প্রেক্ষিতেই কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), সৌগত রায়-সহ দলের অন্যরা যা যা বলেছেন এবং তাতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে তা এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। সকলেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তবে দিল্লি থেকে জানা গিয়েছে কয়েকজন সাংসদ তিতিবিরক্ত হয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চিঠি লিখেছেন। তাতে ১১ জন সই করেছেন। এবং তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হচ্ছে, সৌগত রায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement