ফাইল ছবি
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কখনও পৃথক কোচবিহার, উত্তরবঙ্গ ভাগ, কখনও মুর্শিদাবাদ-মালদহকে আলাদা করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি। বাংলা বিভাজন নিয়ে রীতিমতো শোরগোল তুলছেন বিজেপি বিধায়করা। সোমবার বিধানসভায় এনিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মঙ্গলবার জানা গেল, বাংলা ভাগ নিয়ে নিন্দাপ্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল পরিষদীয় দল। আগামী সোমবার তা নিয়ে আলোচনা হবে। থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীও। মনে করা হচ্ছে, তিনিই এনিয়ে বক্তব্য পেশ করবেন, জবাব দেবেন বিজেপি বিধায়কদের।
সোমবারই বিধানসভায় এই ইস্যুতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বিরোধীদের কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে বলেছিলেন, ”যারা এসব দাবি তুলবে, তারা বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলুক।” তাঁর কথায়, ”কাজ আমরা করি। আর ভোটের সময় বিজেপি শুধু বাংলা ভাগ করার কথা বলে! শুধু আদিবাসী, গোর্খা, রাজবংশীদের আলাদা করে দেয়। যারা বলে আমরা কাজ করিনি, তারা নিজেরা কী করেছে, সেটা আগে দেখান। বাংলা ভাগ তো হবেই না। এর বিরুদ্ধে যাঁরা আলোচনা করছেন, তাঁরা বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলুন। ভোটাভুটি হোক। গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত কোন দিকে যায়, দেখে নিন। এটা নিয়ে যারা বলছেন তারা সন্ত্রাসের দল, ভাগাভাগির দল।”
মঙ্গলবার একই কথা বললেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chatterjee)। তাঁর বক্তব্য, ”বিজেপির (BJP) একাধিক নেতা বলছেন বাংলা ভাগ চাই। একাধিক নেতা বলছেন, ভাগ নয়। যদি সত্যিই ভাগের বিরোধিতা করেন, তাহলে বিজেপি বিধায়করা আসুন সদনে। প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আলোচনায় আসুন। আপনারা অনাস্থা আনতেই পারেন। কিন্তু তার একাধিক নিয়ম আছে।” এদিকে বিধানসভার (Assembly) অধিবেশন আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। তাই বিরোধীরা আদৌ এনিয়ে অনাস্থা পেশের সুযোগ পাবেন কিনা, সেই প্রশ্ন থাকছেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.