Advertisement
Advertisement

লোকসভায় ঝাড়খণ্ড-অসমেও লড়বে তৃণমূল, ঘোষণা মমতার

১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশ হবে টার্নিং পয়েন্ট, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।

 TMc to fight in Loksabha Election in Assam, Bihar, Jharkhand
Published by: Tanujit Das
  • Posted:November 16, 2018 1:23 pm
  • Updated:November 16, 2018 1:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও একাধিক রাজ্যে প্রার্থী দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ শুক্রবার বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে নেতাজি ইন্ডোর থেকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানালেন, ঝাড়খণ্ড, বিহার, অসম ও মধ্যপ্রদেশে কয়েকটি আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল কংগ্রেস৷ লোকসভাকে মাথায় রেখে এই রাজ্যগুলির সাংগঠনিক দায়িত্ব তিনি ভাগ করে দিলেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতার মধ্যে৷

[উন্নয়নের খরচে এগিয়ে বাংলার রাজ্যসভার সাংসদরা]

Advertisement

বিহারের দায়িত্ব দিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও বিধায়ক অর্জুন সিংয়ের উপর৷ মহারাষ্ট্রের দায়িত্ব দিলেন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে৷ মণিপুর ও মিজোরামের দায়িত্বে থাকবেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ এদিনের বৈঠকে প্রথম থেকেই কেন্দ্রের শাসনে থাকা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানালেন, ‘সংবিধানকে বদলে দিয়েছে বিজেপি৷ এরা পলিসি চেঞ্জার কিন্তু গেম চেঞ্জার নয়৷ এদের জন্যই দেশ এখন বিপদের মুখে পড়েছে৷’ পাশাপাশি, তিনি সিবিআই, আরবিআই ও ইভিএম মেশিন নিয়েও আক্রমণ শানিয়েছেন কেন্দ্রের শাসকদলকে৷ দেশের উন্নতির জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবির৷ ঝাড়খণ্ড থেকে লোক নিয়ে এসে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অশান্তির আবহ তৈরি করছে আরএসএস৷ পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির জন্য কাজে লাগাচ্ছে গুরুংকে৷ এমনই অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

[রথযাত্রার প্রস্তুতি দেখতে শহরে অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ দুই নেতা]

কেবল বিজেপিকে আক্রমণ করেই ক্ষান্ত হননি দলনেত্রী৷ পাশাপাশি, তিনি দলের ‘নেতিয়ে’ পড়া নেতাদেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি৷ বলেন, ‘দল করতে হলে গায়ে-গতরে খাটতে হবে৷ অন্যের লাভের ফসল ভোগ করব এই মনোভাব ছেড়ে দিতে হবে৷ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ গড়তে হবে৷’ পঞ্চায়েত নির্বাচনেই দেখা গিয়েছে রাজ্যের জঙ্গল মহলে উল্লেখযোগ্য ভাবে ভোট বৃদ্ধি পেয়েছে বিজেপির৷ গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে যে, জঙ্গলমহলে তাঁদের সংগঠন বাড়িয়েছে আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ৷ এই বিষয়ে নেতা-কর্মীদের সজাগ করেন তিনি৷ নাম করে করে নেতাদের হুঁশিয়ারি দেন তিনি৷ কাজ না করতে পারলে সরিয়ে দেওয়ারও চূড়ান্ত সতর্কতা দেন৷ এখানেই শেষ নয়, ১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের আসন্ন ব্রিগেড সমাবেশের রণকৌশলও এদিন বাতলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানান, “দলের নামে পোস্টার হবে৷ কোনও নেতা তাঁদের নিজস্ব প্রচার করতে পারবেন না৷ দল যে পোস্টার তৈরি করে দেবে তাই দিয়েই প্রচার হবে৷ দু-একটি দল ছাড়া, বাকি সব বিরোধীরা আসবেন ব্রিগেডের সমাবেশ৷ তাঁদের জন্য সমস্তরকমের ব্যবস্থা করতে হবে৷” ১৯ তারিখের ব্রিগেড সমাবেশের লক্ষ্যে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে একাধিক কমিটিও গড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে বিজেপির আসন্ন রথযাত্রাকেও আক্রমণ করেন তিনি৷ বলেন, “ওটা রথযাত্রা নয়, ওটা রাবণ যাত্রা৷” ঘোষণা করেন, রথযাত্রার পরের দিন ওই একই সময়ে একই রাস্তা দিয়ে মিছিল করবে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এই কর্মসূচির নাম দেন ‘পবিত্র যাত্রা, শান্তি যাত্রা, একতা যাত্রা’৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement