ধ্রবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও আকাশনীল ভট্টাচার্য: বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়কে ছ’বছরের জন্য নির্বাসিত করল তৃণমূল কংগ্রেস৷ দলবিরোধী কাজের অভিযোগে মুকুলপুত্রকে নির্বাসিত করা হয়েছে, বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে শুভ্রাংশু যা কাজ করছেন, বা যা মন্তব্য করছেন তা দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে৷ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে৷ সেকারণেই তাঁকে নির্বাসিত করা হয়েছে৷
[ আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের ভোগান্তির ইতি, কর্মবিরতি স্থগিতের সিদ্ধান্ত বার কাউন্সিলের ]
‘একটা মুকুল রায় গোটা তৃণমূলকে তছনছ করে দিল৷ কাঁচরাপাড়ার ওই কাঁচা ছেলেটাই চাণক্যর বুদ্ধিতে গোটা বাংলাকে চষে বেড়াল৷’ তৃণমূল ছাড়ার জল্পনা উসকে শুক্রবার এই ভাষাতেই বাবার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়৷ দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন৷ অভিযোগ করেন, তৃণমূলের নেতারা তাঁকে বিশ্বাস করেন না৷ ‘গদ্দারের ছেলে’ বলে তাঁর সমালোচনা করেছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী৷ যা আঘাত দিয়েছে তাঁকে৷
[ আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের জের, কালীঘাটে শীর্ষ নেতাদের তলব মমতার ]
বারাকপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীকে বীজপুরে লিড না পাওয়ায়, এদিনের সাংবাদিক বৈঠকের সেই দায় নেন শুভ্রাংশু৷ মুকুলপুত্র জানান, ‘‘আমি হেরে গিয়েছি৷ আমি আমার বাবার কাছে হেরে গিয়েছি৷ আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে, আমি যেমন বীজপুরের ভূমিপুত্র, তেমন মুকুল রায়ও বীজপুরের ভূমিপুত্র৷ বীজপুরের মানুষ আমাকে নয়, বাবাকে বেছে নিয়েছেন৷’’ এরপরই তাঁর বর্তমান দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও এদিন একগুচ্ছ ক্ষোভ উগরে দেন বীজপুরের বিধায়ক৷ নাম না করে তৃণমূল নেত্রীর সমালোচনা করে বলেন, ‘‘আমি দলের জন্য একশো শতাংশ করেছি৷ কিন্তু শেষদিনের প্রচারেও মমতাময়ী নেত্রী আমাকে গদ্দারের ছেলে বলেছেন৷ যা খুব খারাপ লেগেছে৷’’ ইঙ্গিতপূর্ণ ভঙ্গিতে মুকুলপুত্র প্রশ্ন করেন, ‘‘এখনই আমি দল ছাড়ছি না, তবে দল কি আমাকে বিশ্বাস করেন?’’ মুখে শুভ্রংশু দল ছাড়ার উল্লেখ না করলেও, তাঁর এই কথাকে যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ অনেকেই বলছেন, মুকুলপুত্রের বিজেপিতে যোগদান আর মাত্র সময়ের অপেক্ষা৷ তবে এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি মুকুল রায়৷ তিনি জানান, ‘বিষয়টি শুভ্রাংশু ও বিজেপির ব্যাপার৷ আমার জানা নেই৷’
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.