ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সামনে একের পর এক নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগে জোর দিয়েছে তৃণমূল। তারই অঙ্গ হিসেবে দলের তরফে ‘হ্য়ান্ডবুক’ আনা হয়েছে। শুক্রবার কালীঘাটে দলের বৈঠকে প্রায় ৫০ পাতার এই ছোট পুস্তিকা দলের বিধায়ক ও পদাধিকারীদের হতে তুলে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে নির্দেশ, ১১ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান হাতে নিয়ে মানুষের কাছে যান। অসংখ্য প্রকল্প হয়েছে। প্রচুর জনপরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এই হ্যান্ডবুক বা পুস্তিকায় তার পুঙ্খানুপুঙ্খ ছবি-সহ হিসাব লেখা।
সাদা মলাটের মাঝে নীল রঙের লেবেল। তার উপর লেখা, ‘১১ বছরে উন্নয়নের খতিয়ান’। পাশে তির চিহ্ন দেওয়া ঊর্ধ্বমুখী একটা মোটা দাগের রেখা, যার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে ঊর্ধ্বমুখী উন্নয়নের কথা। উপরের দিকে সরকারি লোগো। এই হ্যান্ডবুক প্রত্যেকের হাতে তুলে দিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, “বাংলার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কোন কোন কাজ তৃণমূল সরকার মানুষের জন্য করেছে তার সবটা এক জায়গায় করে পুস্তিকা করে দেওয়া হল। মানুষকে এগুলো গিয়ে দেখান। বলুন, এগুলো তাঁদের জন্য তৃণমূলের সরকার করেছে। এই সুযোগ সুবিধা সব পাচ্ছেন কি না মিলিয়ে নিন।” সেই সঙ্গে বিধায়কদেরও টাস্কও দিয়েছেন তৃণমূল সভানেত্রী। এই পুস্তিকা সবসময় সঙ্গে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কী কী আছে এই পুস্তিকায়? তৃণমূল সরকারের সমস্ত প্রকল্পের সার সংক্ষেপ। হ্যান্ডবুকে উল্লেখ করা হয়েছে কৃষি, ছাত্রদের জন্য ঋণ, বীমার মতো খতিয়ান। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো, শিল্প, অর্থদপ্তরের কাজের হিসাব। তার সঙ্গে সংখ্যালঘু, আদিবাসী উন্নয়ন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সাফল্য, কলকাতার দুর্গাপুজো নিয়ে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি থেকে শুরু করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে রাজ্য সরকারের নানা সাফল্যের স্বীকৃতির কথা। সবটাই সংক্ষিপ্ত হলেও মোটের উপর তথ্য সমৃদ্ধ। একেবারে শেষে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। লেখা, “এখানে ধর্ম ও বর্ণ-জাতপাত নিয়ে কোনও হানাহানি নেই। মানুষের জন্য উন্নয়নই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আগামিদিনে বাংলার উন্নয়নে এই মডেলই ভারতকে এক নতুন দিশা দেখাবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.