সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝে এখনও বাকি একদিন৷ তার আগেই শহরজুড়ে আছড়ে পড়ল তৃণমূল ঝড়৷ ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসে যোগ দিতে আজ থেকেই দলে দলে ভিড় জমাতে শুরু করলেন তৃণমূল-কর্মী সমর্থকরা৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে জমায়েত করেন শ’পাঁচেক কর্মী৷ তৃণমূলের অস্থায়ী মঞ্চে কিছুটা সময় বিশ্রাম নেওয়ার পর কর্মীদের মিলনমেলা প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ওখানেই দূর-দূরান্ত থেকে আসা অন্তত ৫০-৬০ হাজার কর্মীর থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করছে দল৷ ক্যাম্পের আদলে শামিয়ানা খাটিয়ে কর্মীদের আপ্যায়নেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
অন্যান্য বছরের তুলানয়া এবারের শহিদ দিবসের গুরুত্ব ছুঁয়ে ফেলেছে জাতীয় রাজনীতির আঙিনা৷ ওই দিনই কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক করবেন তৃণমূল নেত্রী৷ ফলে, শহিদ স্মরণে হাজির হয়ে নেত্রীর মুখ থেকে বিজেপি বিরোধিতা শুনতে চাইছেন দলের কর্মী৷ ফলে, সময় নষ্ট না করে আগে থেকেই ধর্মতলা অভিযানে শামিল তৃণমূল কর্মীরা৷
একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবস এবার পঁচিশে পা রেখেছে৷ উনিশের লড়াইয়ের আগে পঁচিশ বছরের পথচলায় শহিদদের সম্মান জানাতে ২১ জুলাইকে এবার ‘অঙ্গীকার দিবস’ হিসাবে পালনের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস৷ কারণ, ২০১৯-এ দিল্লিতে বড় লড়াই। জাতীয় স্তরে সেই লড়াইয়ে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও আবর্তিত হচ্ছে অনেকটাই মমতার ফর্মুলায় ভরসা করে। বিগত দিনে বেশ কয়েকটি নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতির ভবিষ্যৎও নির্ধারিত হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে। ফলে জাতীয় রাজনীতিতে মমতার গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর প্রস্তাবকেও মান্যতা দিয়েছে দেশের একটা বড় অংশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এর মধ্যে তাঁর দল তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছে, দেশে পরিবর্তনের লড়াই শুরু হবে বাংলার মাটি থেকে। ফলে জাতীয় স্তরের লড়াইটা যে এ রাজ্য থেকেই নিয়ন্ত্রিত হবে, তা একপ্রকার পরিষ্কার৷ ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কার্যত লড়াইয়ের চরম বার্তাটা দেবেন তৃণমূলনেত্রী। সে কারণেই এই দিনটিকে ‘অঙ্গীকার দিবস’ হিসাবে পালন করবে দল৷ দলনেত্রীর এই আহ্বানে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই জেলা থেকে ধর্মতলা আসতে শুরু করেছেন কর্মীরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.