ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বঞ্চিতদের প্রাপ্য আদায়ে ‘মিশন দিল্লি’ তৃণমূলের। ট্রেন না পেয়ে বাসেই দিল্লির পথে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। নেতাজি ইন্ডোর থেকে ৫০টি বাস রাজধানীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এদিকে, বিমানে দিল্লি রওনা টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদার-সহ আরও অনেকেই। মোদিবিরোধী পোস্টার হাতে মৃদু বিক্ষোভও দেখান। বিকেলের বিমানে দিল্লি যাবে শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। দিল্লিতে কর্মসূচির আগে শনিবার দুপুর ২টোয় ভারচুয়ালি বক্তব্য রাখবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বার্তা।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শনিবার নেতাজি ইন্ডোর থেকে ৫০টি বাস দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবে। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক জেলা থেকেও বাসে চড়ে দিল্লিতে পৌঁছনোর কথা দলীয় কর্মী-সমর্থকদের। উত্তরবঙ্গের কমপক্ষে ৭০-৮০ জনের একটি দল রাজধানী এক্সপ্রেসে চড়ে যাবেন। স্থানীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে অসমের তৃণমূল রাজ্য সভাপতি রিপুন বোরাও ‘মিশন দিল্লি’তে যোগ দেবেন। জানা গিয়েছে, প্রতিটি বাসে কো-অর্ডিনেটর থাকবেন। তাঁরাই দীর্ঘ যাত্রাপথে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
ঘাসফুল শিবিরের দাবি, ‘মিশন দিল্লি’ রুখতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। ট্রেন বাতিলের পর যেন সেই প্রচেষ্টা আরও প্রকট হয়েছে বলেই দাবি তৃণমূলের। আর পূর্ববর্তী ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিহার পার করার পরই বাসগুলি বিভিন্নভাবে বাধা পেতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, রাজধানীর নিরাপত্তা অন্যান্য শহরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। সেক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যক বাস আদৌ যেতে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। এই সমস্ত বাধাবিপত্তি পেরিয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে বঞ্চিতদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে শামিল হওয়াই মূল কাজ কো-অর্ডিনেটরদের।
এদিকে, আগামিকালই সন্ধ্যায় অভিষেকের দিল্লি পৌঁছনোর কথা। সেখানে গিয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক কী হবে, তা ওই বৈঠকে স্থির হবে। আপাতত আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবরের তৃণমূলের ‘মিশন দিল্লি’তেই নজর সকলের।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.