Advertisement
Advertisement
Jadavpur University

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ডিন তৃণমূলের মুখপাত্র ওমপ্রকাশ মিশ্র! শুরু বিতর্ক

ডিনের মতো নিরপেক্ষ পদে কেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব? উঠছে প্রশ্ন।

TMC spokespersom Omprakash Mishra is new dean of Arts of Jadavpur University, question arises for his political identity| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 6, 2020 6:43 pm
  • Updated:December 6, 2020 10:42 pm  

দীপঙ্কর মণ্ডল: শিক্ষাঙ্গনে ফের রাজনীতির ছায়া! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) কলা বিভাগের ডিন নির্বাচিত হলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (IR) বিভাগের প্রধান তথা তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র ওমপ্রকাশ মিশ্র। শাসকদলের এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ওমপ্রকাশ মিশ্র ডিন হওয়ায় ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ডিনের মতো নিরপেক্ষ পদে কেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে আনা হল? প্রশ্ন তুলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশই।

করোনা সতর্কতায় রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টানা আট মাসেরও বেশি সময় ধরে পঠনপাঠন বন্ধ। তার মধ্যে রবিবার যাদবপুরের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের ভারচুয়াল বৈঠক হয়। সেখানেই কলা, বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নতুন ডিনদের নাম ঘোষণা করেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। কলা বিভাগে ওমপ্রকাশ মিশ্র ছাড়া বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন হয়েছেন সুবিনয় চক্রবর্তী ও অমিতাভ দত্ত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিউটাউনে নাবালিকাকে ‘গণধর্ষণ’, বাধা দেওয়ায় পুরুষ বন্ধুকে বেধড়ক মার অভিযুক্তদের]

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ওমপ্রকাশবাবু কলা বিভাগের সবচেয়ে অভিজ্ঞ অধ্যাপক। এই কারণে তাঁকে ডিন বাছাই করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে যাদবপুরে তিন সদস্যের স্ক্রিনিং কমিটি গঠিত হয়। নতুন তিনজন ডিন বাছাই করেছে সেই কমিটি। উচ্চশিক্ষা দপ্তরে এই তালিকাও ইতিমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত তৃণমূলের (TMC) রাজ্য কোর কমিটির সদস্য তথা দলের অন্যতম মুখপাত্র ওমপ্রকাশ মিশ্র। 

[আরও পড়ুন: নাকতলা উদয়ন সংঘে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, ক্লাবঘর ভাঙচুর, বাধা দিতে গিয়ে জখম ২]

কিন্তু ওয়াকিবহাল মহল ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন পদ সরকারি। তাছাড়া একেবারেই নিরপেক্ষ ও অতি গুরুত্বপূর্ণ। হস্টেল থেকে পড়ুয়া, অধ্যাপক যাবতীয় সমস্যার দেখভাল করেন অভিভাবক-সম ডিন। তাই রাজনৈতিক পরিচয় থাকা কোনও ব্যক্তিকে সাধারণ এই পদে বসানো হয় না। কারণ, তাতে তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠতে পারে যে কোনও সময়ে। কিন্তু এবার সরাসরি রাজ্যের শাসকদলের এক মুখপাত্রকে এই পদে বসানোয় শুরু হয়েছে তরজা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement