সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের উপর ‘অভিমান’ করে দল ছেড়েছেন তাপস রায়। কিন্তু সেই অভিমান যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মত তৃণমূলের। বরং ‘বড় কোনও ডিলের অফারেই রাতারাতি আদর্শ বদল’ তাপস রায়ের, বলছেন তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র শান্তনু সেন। যদিও ভিন্ন মত কুণাল ঘোষের গলাতে। তিনি বলছেন, “উনি সিনিয়র নেতা। সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে কিছু বলার থাকে না। তবে বলব, উনি কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিন। রিজার্ভ বেঞ্চে বসুন।”
সোমবার বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন তাপস রায়। পদত্যাগের কথা জানান। এর পরই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে শান্তনু সেনের প্রশ্ন, “তাপস রায় বলছেন, উনি দলের কাছে সম্মান পান না। কিন্তু প্রশ্ন হল, এটা কি লোকসভা ভোটের সূচি ঘোষণার ১৫ দিন আগে ওঁর মনে হল?” এর পরই তৃণমূলত্য়াগী প্রাক্তন বিধায়কের দলবদলের ইতিহাস টেনে খোঁচা দেন শান্তনু। সঙ্গে মনে করিয়ে দেন, তৃণমূল তাঁকে কী কী পদ ও সম্মান দিয়েছিল। উল্লেখ্য, তাপস ছিলেন কংগ্রেস সদস্য। সেই সময় কলকাতা উত্তর পূর্ব কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী অজিত পাঁজার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। পরে তৃণমূল যোগ দেন তাপস রায়। এর পর ঘাসফুল শিবির তাঁকে মন্ত্রী, বিধায়ক করেছে। মুখ্য সচেতক পদের দায়িত্বও তিনি সামলেছেন। এর পরই হঠাৎ ভিন্ন আদর্শের একটি দলে তিনি যোগ দিচ্ছেন বলেই জল্পনা, জানিয়েছেন শান্তনু সেন। এর পরই তাঁর দাবি, “বড় কোনও ডিলের অফারেই রাতারাতি আদর্শ বদল।”
যদিও কুণাল বলছেন, “চলে গেলে কষ্ট হবে। উনি সিনিয়র। বলব, একটু বিশ্রাম নিন, রিজার্ভ বেঞ্চে থাকুন। যদিও তাপসদা একটা বড় নাম। রাজনৈতিক নেতা। অনুরোধ করব কিছু না করতে।” প্রায় ২৩ বছর ধরে বর্ষীয়ান বিধায়ক তাপস রায় ঘাসফুল শিবিরের একনিষ্ঠ সদস্য। বেশ কয়েকবারের বিধায়ক তিনি। কিন্তু সম্প্রতি দলের একাধিক কাজে অসন্তোষ, দলের ভূমিকা নিয়ে ‘অভিমান’ জমাট বেঁধেছে তাঁর মনে। আর সেই ‘অভিমানে’র বহিঃপ্রকাশেই বিধায়ক ও দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফার (Resignation) সিদ্ধান্ত কার্যকর করেই ফেললেন তিনি। লোকসভা ভোটের আগে তাঁর এই দলত্যাগ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। তা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.