ফাইল ছবি
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেও হার আটকাতে পারেনি। বাংলাকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে তার পর থেকে লাগাতার প্রতিবাদ করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে দিল্লিতে ধরনার আওয়াজ তুলেছেন। তার মধ্যে ধূপগুড়ির ভোটে আবারও মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। সেই রাগেই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যাওয়া আটকাতে অভিষেককে ইডি দিয়ে তলব করে কেন্দ্র সরকার হেনস্তা করতে চাইছে বলে তোপ দাগল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার ইডি দপ্তরে হাজিরা দেবেন অভিষেক। তার আগে মঙ্গলবার এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াল রাজ্যের শাসক দল। দলের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে মুখোমুখি হন দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা ও পার্থ ভৌমিক। তাঁদের সাফ কথা, শিরদাঁড়া বিক্রি করেননি অভিষেক। সেই কারণেই তাঁকে ইডি দিয়ে বারবার হেনস্তা করছে কেন্দ্র সরকার।
প্রথমেই ধূপগুড়িতে বিজেপির হারের প্রসঙ্গ টানেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। বলেন, “ধূপগুড়ির আসনটি ছিল বিজেপির দখলে। উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই হারটা মেনে নিতে পারেনি বিজেপি। আর সেই রাগই অভিষেকের উপর মেটানো হচ্ছে।” এর পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে সরাসরি পার্থর তোপ, “আসলে অভিষেকের শিরদাঁড়া সোজা। শুভেন্দুর মতো শিরদাঁড়া বিক্রি করেননি। সেই কারণেই বারবার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির দিনগুলোতে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে হেনস্তা ও বিব্রত করার চেষ্টা হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের মুখোমুখি হতে ভয় পান না। সেটা ফের প্রমাণ হয়ে যাবে।” এর পরই ইডি-সিবিআই আধিকারিকদেরও মেরুদণ্ড সোজা রাখারও পরামর্শ দেন পার্থ ভৌমিক। তাঁর কথায়, “ইডি, সিবিআই কর্তাদের বলছি, খামোখা নিজেদের আত্মসম্মান ক্ষুণ্ণ হতে দিচ্ছেন কেন? আর তো ৬ মাস, তারপর তো ভোট!”
দিল্লিতে সদ্য সমাপ্ত হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। সেখানে বিপুল পরিমাণ অর্থ কেন্দ্র সরকার স্রেফ অপচয় করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন। তার ভিত্তিতেই তাঁর প্রশ্ন, “জি-২০ সম্মেলনের জন্য বাজেটে ৯৯০ কোটি বরাদ্দ ছিল। অথচ সেখানে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হল। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ নষ্টের জবাব দেবে কে? এতে ভারতের কী শিল্পোন্নতি হল?” এর পরই তাঁর অভিযোগ, বাংলাকে আর্থিক বঞ্চনা করা হচ্ছে। অথচ, এত বিপুল পরিমাণ টাকা স্রেফ অপচয় করা হচ্ছে। শশী পাঁজার কথায়, “বাংলার বাড়ি প্রকল্প, ১০০ দিনের কাজের বেলায় টাকা নেই। অথচ এসবে খরচ করার টাকা আছে! বিজেপি এভাবে যত বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করবে ধূপগুড়ির মতো প্রতিটা ভোটে বাংলার মানুষ তার জবাব ফিরিয়ে দেবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.