সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস (Congress)। পাঞ্জাব থেকে উত্তরাখণ্ড, গোয়া- কোনও রাজ্যেই দাঁত ফোটাতে পারেনি হাত শিবির। আর ঠিক কয়েনের উলটো পিঠের মতো চার রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। একের পর এক হেভিওয়েট নেতার হারে রীতিমতো মুখ লুকোতে হচ্ছে শতাব্দীপ্রাচীন জাতীয় দলটিকে। বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরের দিনই তাই কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছিল তৃণমূলের মুখপত্র। আর এবার তাদের ‘স্বেচ্ছামৃত্য়ু’ রুখতে বিশেষ পরামর্শ দিল বাংলার শাসকদল।
ররিবার জাগো বাংলার (Jago Bangla) সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, শতাব্দীপ্রাচীন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যে চরম বিদ্রোহের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পাঁচ রাজ্যে ভরাডুবি হওয়ার পর পরিস্থিতি বড্ড গোলমেলে। পাঞ্জাব ছিল কংগ্রেসের গড়। একটা জেতা রাজ্যকে কীভাবে বিরোধীদের হাতে তুলে দিতে হয়, তা দেখিয়ে দিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। দেশজুড়ে কংগ্রেসের সাংগঠিক দুর্বলতা এবং সঠিক নেতৃত্বের অভাবের বিষয়টিই বারবার উঠে এসেছে তৃণমূলের মুখপত্রে।
উত্তরপ্রদেশে হাত শিবিরের করুণ পরিণতি নিয়েও তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল। কটাক্ষের সুরে মুখপত্রে লেখা হয়েছে, “সারা রাজ্য ঘুরে বেড়ালেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দিনের শেষে আসন মাত্র দুই! সর্বকালীন রেকর্ড। এই যে মনে করা হচ্ছিল ইন্দিরার উত্তরসূরি প্রিয়াঙ্কা, তা সমূলে প্রপাতধরণীতল হল ভোটে।” উত্তরাখণ্ড ও গোয়ার ছবিটাও একইরকম। তৃণমূলের দাবি, দিনের শেষে কংগ্রেসের শূন্য কলসি। বর্ষীয়ান নেতাদের কথা মেনে দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন করার পরামর্শ শুনলে হয়তো কংগ্রেস বেঁচে যেত।
প্রসঙ্গত, আজই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক আছে। পাঁচ রাজ্যের ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা সেখানে। গান্ধী পরিবারের মুখাপেক্ষী না থেকে যে এবার নেতৃত্বে বদল প্রয়োজন, বৈঠেকর আগে সেকথাই মনে করাতে চাইল মুখপত্র। সম্পাদকীয়র শেষে লেখা হয়েছে, “দলটা যদি মেরুদণ্ড সোজা করে, নেতৃত্ব বদল করে লড়াইয়ে নামে তাহলে তবু একটা সম্ভাবনা থাকে। আর যদি আজকের বৈঠকেও গান্ধী নামের প্রতি প্রেম উথলে ওঠে, তাহলে কংগ্রেস স্বেচ্ছামৃত্যুর দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাবে।”
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চেয়েছেন, কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিকল্প শক্তির একটি স্টেয়ারিং কমিটি হোক। তৃণমূল কখনও বলেনি, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জাতীয় স্তরে লড়াই করা হবে। শুধু বলা হয়েছে, কংগ্রেসের নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়েছে। আমি আমি করতে গিয়ে ডুবছে দলটা। তাই বদল প্রয়োজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.