সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেসের মতাদর্শের সঙ্গে দূরত্ব যেন বেড়েই চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার হাত শিবিরকে ‘দ্বিচারী’ তকমা দেওয়া হল তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় (Jago Bangla)। চণ্ডীগড় পুরনিগমের নির্বাচনে যেভাবে বিজেপির জন্য মাটি ছেড়ে দিয়েছে কংগ্রেস, তারই তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। এমনকী কংগ্রেসকে বিজেপির দোসর বলেও আক্রমণ শানানো হয়েছে।
এদিন মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, “যতদিন যাচ্ছে তত কংগ্রেসের চরিত্র প্রকাশ্যে আসছে। কংগ্রেস নাকি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায় না। কিন্তু কী হল হরিয়ানায়? চণ্ডীগড় পুরনিগমে সদ্য নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের ফল এইরকম- আপ-১৪, বিজেপি-১২, কংগ্রেস-৮, অকালি দল-১। সব মিলিয়ে ৩৫ আসনের পুরসভা। আপের মেয়র পদে বসার সম্ভাবনা প্রবল ছিল। কিন্তু কোন ক্ষমতাবলে বিজেপি মেয়রের পদ দখল করে নিল, তা জানলে অবাক হতে হয়।”
এরপরই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, কংগ্রেস বিনা কারণেই ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়া থেকে সরে দাঁড়ায়। সাতজন ভোট দেননি। ভোটে আপ ও বিজেপি টাই (১৪-১৪) হওয়ার পর গায়ের জোরে আপের একটি ভোট বাতিল করে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। জাগো বাংলায় কটাক্ষের সুরে লেখা হয়েছে, “বিজেপির এটাই চরিত্র। এখন তার দোসর কংগ্রেস।” এর আগেও একাধিক ইস্যুতে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তৃণমূলের মুখপত্রে। কখনও বলা হয়েছে কংগ্রেস আন্দোলন বিমুখ তো কখনও দল ডিপ ফ্রিজে চলে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। আর সেই সঙ্গে জাতীয় স্তরে মোদি তথা বিজেপির বিকল্প মুখ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম। এবার কংগ্রেসকে বিজেপির দোসর বলতেও রেয়াত করা হল না।
এদিকে, সোমবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ কেসি বেণুগোপাল ও বর্ষীয়ান নেতা পি চিদাম্বরমের বৈঠকের পরই গোয়ায় তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোটের জল্পনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। যদিও বেণুগোপাল সাফ জানিয়ে দেন, তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি। এমন খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.