মণিশংকর চৌধুরী: গণধর্ষণের শিকার হওয়া বান্ধবীর মৃত্যুর সুবিচারের দাবিতে পথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন কামদুনির মৌসুমী, টুম্পারা। রাজ্য পুলিশের ‘উদাসীনতা’য় কলকাতা হাই কোর্টে সুবিচার পাননি বলেই দাবি তাঁদের। হাই কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। রামমন্দির উদ্বোধনের দিনেও আরও একবার গর্জে উঠলেন দুই প্রতিবাদী মুখ। মমতার সংহতি মিছিলের(TMC Sanghati Rally) প্রতিবাদে চড়ালেন সুর। দমদম পার্কের একটি হনুমান মন্দিরে দিলেন পুজোও।
রামমন্দির উদ্বোধনে ‘গর্বিত’ কামদুনির মৌসুমী। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, “রামায়ণ, মহাভারত পড়ে বড় হয়েছি। তাই আজকের দিনে সত্যিই খুব গর্বিত। আমরা যেমন পুজো করি। তেমনই অন্যের ধর্মকে সম্মান করি। যাঁর ধর্ম তাঁর কাছে মহান।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরেও দেন মৌসুমী। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন।
এদিনের ‘সংহতি মিছিলে’র বিরোধিতায় মুখ খোলেন। তাঁর কথায়, “সংহতি মিছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২২ তারিখ না করে ২৩ তারিখ করতে পারতেন। উনি ভোটের কথা ভেবে এসব করছেন। আমরা দুর্গাপুজো, ইদের সময় শুভেচ্ছা জানাই, ক্রিসমাসের শুভেচ্ছাও জানাই। অনেক মুসলমান ভাইবোনেরাও হনুমান মন্দিরে জড়ো হয়েছেন। আমরা সকলে মিলেমিশেই থাকি। মমতা চাইছেন দ্বন্দ্ব তৈরি করতে। উনি ধর্ম নিয়ে অযথা ভেদাভেদ তৈরি করছেন।”
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে কামদুনিতে গণধর্ষণের শিকার হন ডিরোজিও কলেজের ছাত্রী। প্রাণও হারান। তার পর থেকে বার বার শিরোনামে চলে আসেন মৃতার দুই বান্ধবী মৌসুমী ও টুম্পা। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পথ তেমন মসৃণ নয়। একাধিকবার নানা ঘাত, প্রতিঘাত এসেছে। একাধিক চড়াই উতরাই পেরতে হলেও দমতে নারাজ দুই প্রতিবাদ মুখ। সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়, দাঁতে দাঁত চেপে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে কামদুনির দুই লড়াকু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.