ফাইল ছবি।
রমেন দাস: যাদবপুর থেকেই লোকসভা ভোটেই জয়ের ডাক দিল শাসকদল তৃণমূল (TMC)। এবার শুভেন্দুকে নিশানা করলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। রবিবার যাদবপুরের (Jadavpur) সুকান্ত সেতু মোড় থেকে গড়িয়া পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। যাদবপুর তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে এই মিছিলে উপস্থিত হন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার-সহ একাধিক তৃণমূল নেতারা। হাজির হন যাদবপুর এলাকার একাধিক ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরাও।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এজেন্সি অপব্যবহারের অভিযোগ থেকে শুরু করে বকেয়া ‘বঞ্চনা’। রাজপথ থেকে ফের সুর চড়ান তৃণমূল নেতারা। এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “আগে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) চোর বলতাম। গাঁজা-সহ বিজেপি নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার পর গাঁজাখোর বলব! বিজেপি ছবি দেখিয়ে প্রচার করে, এবার আমরাও ছবি দেখাচ্ছি। পুলিশকে অনুরোধ করব খতিয়ে দেখুন।” কুণালের কথায়, ”তৃণমূলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই, নবীন-প্রবীণ নেই। দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।” আগামী লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election) ‘ইন্ডিয়া’ জোট জিতবে বলে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেতা।
এদিকে যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার বলেন, “তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। একের পর এক ইস্যুতে মিথ্যা প্রচার চলছে। এই কারণে প্রতিবাদে নেমেছি আমরা।” কুণালের সুরেই মিছিল থেকে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে সুর চড়ান তৃণমূলের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তও। তৃণমূলের মিছিলে কার্যত অবরুদ্ধ হয় যাদবপুর থেকে গড়িয়া যাওয়ার রাস্তা। বহু মানুষের ভিড় থেকে স্লোগান ওঠে, ‘শুভেন্দু চোর, বিজেপি চোর’! নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহ ‘হঠাও’ চিৎকারে এগোয় মিছিল।
উল্লেখ্য, ১০ জানুয়ারি যাদবপুর থেকে গড়িয়া পর্যন্ত মিছিলে হেঁটেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক ইস্যুতে রাজ্য সরকার, রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হন নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ক। এর পর মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে একই পথে পালটা মিছিল করল তৃণমূল। যা লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক ক্ষমতার অস্ত্রে শান বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.