Advertisement
Advertisement

Breaking News

TMC protest

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ, বৃষ্টি মাথায় ব্লকে-ব্লকে বিক্ষোভ তৃণমূলের, ‘চোরেদের ধরনা’, কটাক্ষ বিজেপির

ব্লকে ব্লকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

TMC protests against central negligence, BJP slams | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:August 6, 2023 4:11 pm
  • Updated:August 6, 2023 7:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাজ্যের ব্লকে-ব্লকে বিক্ষোভ তৃণমূলের। হাজির রাজ্যের মন্ত্রীরাও। আর প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াল তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। দিল্লি থেকে হকের টাকা ছিনিয়ে আনার ডাক দিলেন ঘাসফুল শিবিরের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পালটা কটাক্ষ বিজেপির। 

একুশের মঞ্চে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন। বিজেপি (BJP) নেতাদের ঘেরাও অভিযান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ৫ আগস্ট কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ যত বিজেপি নেতাকর্মী আছেন, তাঁদের বাড়ির বাইরে ঘেরাও অভিযান করবেন তৃণমূল কর্মীরা। ব্লক স্তর থেকে শুরু করে বুথ স্তর পর্যন্ত, ছোট, বড়, মেজো সব বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করা হোক। অভিষেকের বক্তব্য ছিল, ওই বিজেপি নেতার বাড়ির কোনও বয়স্ক সদস্য থাকলে তাঁরা যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু ওই বিজেপি নেতা যেন বাড়ি থেকে বেরতে না পারে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ ৩৪১ ব্লকের সব বুথে এই কর্মসূচি চেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। যদিও পরে সেই কর্মসূচি কিছুটা শুধরে দেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, “অভিষেক যে কর্মসূচির কথা বলেছে, সেটা আমি বলব শুধু ব্লক স্তরেই করো। বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরত্ব রেখে করো। যাতে যাতায়াতে অসুবিধা হয়। যাতে কেউ বলতে না পারে আমাদের হ্যারাস করা হয়েছে।” মমতার কথায়, ‘ওটা প্রতীকী ঘেরাও হোক।’ জল গড়ায় আদালতে। দিন বদলে কর্মসূচি পালন হয় ৬ আগস্ট, রবিবার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘না নিজেরা করবে, না অন্যদের করতে দেবে’, রেলের অনুষ্ঠান থেকে বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ মোদির]

এদিন বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ব্লকে ব্লকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বাড়ির কাছে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। আবার শিলিগুড়ি শহরের কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন গৌতম দেব। কর্মসূচি পালিত হয় কলকাতা শহরের একাধিক প্রান্তে। চেতলা, খিদিরপুরে হাজির ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাজ হাকিম। বাগবাজারে শশী পাঁজা। উলটোডাঙায় কুণাল ঘোষ। বরাহনগরে তাপস রায়-সহ একাধিক মন্ত্রী-বিধায়ক-দলীয় পদাধিকারীরা। কুণাল ঘোষের হুঁশিয়ারি, “দিল্লি থেকে হকের টাকা ছিনিয়ে আনতে হবে।”

যদিও তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর খোঁচা, “আজ চোরেরা ধরনায় বসেছে। নরেন্দ্র মোদি কাউকে বঞ্চনা করে না।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, “বকেয়া চেয়ে ব্লকে-ব্লকে ধরনা দিয়ে কী হবে? বঞ্চনা হয়েছে মনে করলে সোজা দিল্লি চলে যান।”

[আরও পড়ুন: ‘না নিজেরা করবে, না অন্যদের করতে দেবে’, রেলের অনুষ্ঠান থেকে বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ মোদির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement