সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের চিত্র আমূল বদলে গেল শুক্রবার। তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্টে ‘বেসুরো’ হয়েছিলেন দলের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁকে দলীয় কর্মসূচির কথা ঠিকমতো জানানো হয় না। তাই তিনি মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছেন না। তাঁর মানভঞ্জনে শুক্রবার সঙ্গে সঙ্গেই আসরে নেমেছিল তৃণমূল। সকালে বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের ফোন, দুপুরে কুণাল ঘোষ সাংসদের বাড়ি গিয়ে দেখা করার পর সন্ধেবেলা শতাব্দী রায়কে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে। সঙ্গে ছিলেন কুণালও। অর্থাৎ, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এবার তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসার পথে হাঁটল।
শুক্রবার সন্ধে তখন সাড়ে ৬টা পেরিয়েছে। দলের যুব সভাপতি তথা শীর্ষ নেতৃত্বের অন্যতম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসের সামনে দেখা গেল শতাব্দী রায়, কুণাল ঘোষকে। বোঝা গেল, শতাব্দী-অভিষেকের সাক্ষাৎ করানোর অন্যতম কাণ্ডারি কুণাল ঘোষই। যদিও এই সাক্ষাতপর্বকে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। এমনকী শতাব্দী নিজেও এ নিয়ে বিশেষ মুখ খুলতে চাননি। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখলে বোঝা অসম্ভব নয় যে অভিষেকের অফিসে শতাব্দীর যাওয়া এই মুহূর্তে অনেকগুলি সম্ভাবনা তৈরি করে।
দলে থেকে ঠিকমতো কাজ করতে না পারার অভিযোগে সম্প্রতি সরব হয়েছেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা, মন্ত্রী। বিশেষত শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পর সেই সুর আরও চড়েছে। নানা জনে নানা অভিযোগ এবার প্রকাশ্যে আনছেন। সেভাবেই বৃহস্পতিবারও ফেসবুক পোস্টে বীরভূমের তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের সদস্যপদ ছাড়তে চেয়ে ২ বার ইস্তফাপত্রও পাঠিয়েছিলেন সাংসদ। তবে তা গৃহীত হয়নি। শনিবার শতাব্দী দিল্লি যাবেন, এই খবর জানার পর জল্পনা উসকে উঠেছিল, তাহলে কি তিনিও শুভেন্দুদের পথে হেঁটে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন?
কিন্তু ফেসবুক পোস্টের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তাঁকে অভিষেকের অফিসে দেখা গেল। তবে কি সৌগত রায়ের ফোন, কুণাল ঘোষের সাক্ষাতে মানভঞ্জন হল তৃণমূলের তারকা সাংসদের? নাকি আরও বড় পরিসরে আলোচনার জন্যই তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিয়ে গেলেন কুণাল ঘোষ? আপাতত নানা সম্ভাবনা নিয়ে চলছে আলোচনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.